আজ বিশ্ব শিক্ষক দিবসে সকল শিক্ষকের প্রতি রইলো বিনম্র শ্রদ্ধা। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ব শিক্ষক দিবস ১৯৯৫ সাল থেকে প্রতি বছর ৫ সেপ্টেম্বর বিশ্বব্যাপী পালন করা হয়। ইউনেস্কোর মতে, বিশ্ব শিক্ষক দিবস শিক্ষা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে শিক্ষকদের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ পালন করা হয়ে থাকে। বর্তমানে বিশ্বের ১০০টি দেশে এই দিবসটি পালিত হয়ে হয়। এই দিবসটি পালনে এডুকেশন ইন্টারন্যাশনাল ও তার সহযোগী ৪০১টি সদস্য সংগঠন মূল ভূমিকা রাখে।
শিক্ষক হলো এমন একটা ব্যক্তিত্ব যে বিনা স্বার্থে সর্বদাই আমাদের মঙ্গল কামনা করে থাকে। যেখানে নিজেদের নামটা লিখতেও শিক্ষকদের সেই শেখানো বর্ণমালা ব্যবহার করতে হয়। পিতা মাতার পরেই অক্লান্ত পরিশ্রম করে থাকে একমাত্র শিক্ষক। যাদের ঋণ কখনও শোধ হওয়ার নয়, কিন্তু এটা বর্তমান দিনে খুবই দুঃখজনক। তার কারণ হলো বিগত দুই দশক পূর্বেও শিক্ষদের যেভাবে সম্মান শ্রদ্ধা করা হতো, বর্তমান দিনে তা নেই। শিক্ষক যেন এখনকার দিনে সাধারণ একজন মানুষ যা পাড়ার একজন সমবয়সী ব্যক্তি যেমন হয়ে থাকে। তাছাড়া শিক্ষকের গায়ে হাত তোলার মতো ঘটনাও ঘটছে। যেখানে একজন সন্তানের কাছে পিতা মাতার পরেই শিক্ষকের মর্যদা দেওয়া হয়েছে।
একজন শিক্ষক তার সারাটা জীবন ব্যয় করে তার শিক্ষার্থীদের জন্য। আর এ সবের বিনিময়ে তারা চাই শুধু মাত্র একজন শিক্ষার্থী সে একদিন সামনে এসে বিনম্র ভাবে বলবে, স্যার আপনার শরীর কেমন আছে?
আমি আজ প্রতিষ্ঠিত আপনার সেই শাসন, আপনার শিক্ষা আমাকে এই জায়গায় এনেছে।
তারা নিজেরা কিছু করতে পারলে যতটা খুশি হয়, তার থেকে হাজার গুণ বেশি খুশি এবং উৎফুল্ল হয় তার কোন শিক্ষার্থীর অর্জনে।
এই স্বার্থপর পৃথিবী যেখানে নিজের স্বার্থ ছাড়া কেউ হাতটাও ধরতে চাইনা একটা কথা ও ব্যয় করতে চাইনা, সেখানে শুধু মাত্র শিক্ষক যে তার সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করে শিক্ষার্থীর এই কয়েকটা কথা শুনার জন্য।
তাই শুধু এই দিনটি উদযাপন করে সব শেষ করা সম্ভব না, যতই স্লোগান দেয় আর মুখে হাজার বার বলুক না কেন তাতে প্রকৃত সম্মান কখনোই করা হবেনা। মন থেকে, এই শ্রদ্ধা এই সম্মান প্রতিটা দিন প্রতিটি মুহুর্ত সারাজীবন শিক্ষকদের প্রতি জানানো উচিত। তাদের এই পরিশ্রম যাতে বৃথা না যায় সেদিকে খেয়াল রেখে প্রকৃত মানুষ হয়ে তাদের পরিশ্রমকে কিছুটা হলেও সার্থক করা আমাদের সবার কর্তব্য।
ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল শিক্ষক। মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে একটাই কামনা। আমাদের যেসব শিক্ষক পরলোকগমন করেছেন তাদেরকে মাফ করে দিয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করুন। আমিন।
আপনার মতামত লিখুন :