Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১

মানুষ ও মানবতার কল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ আলহাজ্ব মো. ফজলুল করিম


দৈনিক পরিবার | মনিরুজ্জামান পামেন আগস্ট ২৪, ২০২৪, ০৮:৫৫ পিএম মানুষ ও মানবতার কল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ আলহাজ্ব মো. ফজলুল করিম

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার প্রবাসী অধ্যুষিত গ্রাম মানিকপুর। একসময়ের অবহেলিত অনুন্নত এই গ্রামকে উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে এগিয়ে নেয়ার পেছনের কারিগর তিনি। মানবতা, দেশপ্রেম ও নিজ জন্মভূমির প্রতি তার অকুণ্ঠ ভালবাসা দল মত, ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে মানুষ ও মানবতার কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। আর সেই মহান মানুষটি হলেন বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মানিকপুর গ্রামের কৃতি সন্তান আলহাজ্ব মো. ফজলুল করিম। তার পিতা মো. আইয়ুব আলী।
তিতাস বিধৌত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মেঘনার কোলঘেষা বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মানিকপুর গ্রামটি উপজেলা সদর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। সেই ৮০ দশকে অজপাড়া গাঁ মানিকপুরের সন্তান ফজলুল করিম পড়াশুনা শেষ করে সুদূর ইউরোপ চলে যান। সেখানে তিনি জীবন ও জগৎকে ভালভাবে উপলব্ধি করেন। দীর্ঘদিন ইতালি থাকার পর বর্তমানে ব্রিটেনে বসবাস করছেন।
একজন সামাজিক ও মানবিক মানুষ হিসেবে পরিচিত ফজলুল করিম, যার কাছে মানব সেবাই পরম ধর্ম। পৃথিবীর প্রতিটি ধর্মেই মানব সেবার কথা বলা আছে। আর মানব সেবার মাঝেই সৃষ্টিকর্তার আনুকূল্য পাওয়া যায়। চাইলে অনেকভাবেই মানুষের সেবা করা যায়। কিন্তু ফজলুল করিম সবার চেয়ে আলাদা। তিনি বাঞ্ছারামপুরবাসীর জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিচ্ছেন কোন স্বার্থ ছাড়াই। প্রবাসীতে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন এক উজ্জ্বল অধ্যায়ে। তার চিন্তা, চেতনা, ভাবনা ও কল্পনায় ছিল দেশপ্রেম ও মানবপ্রেম। আজকের বাঞ্ছারামপুর উপজেলা প্রবাসী অধ্যুষিত উপজেলা হিসেবে পরিচিতি পাওয়ার পেছনে উপজেলার যে কয়েকজন ব্যক্তির অনন্য ভূমিকা রয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম ফজলুল করিম।
তিনি বলেন, মানুষের প্রতি মায়া মমতা ও ভালবাসা দিয়ে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করা উচিত। মানুষের জন্য কাজ করা পৃথিবীর সবচেয়ে ভাল কাজ। আমার জন্ম মানুষের কল্যাণের জন্য। যতদিন বেঁচে থাকব মানুষের সেবায় কাজ করে যাব।
ফজলুল করিম তার নিজ এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার একজন নির্ভরযোগ্য মানবিক মানুষ। শৈশব থেকেই শুভ্র চঞ্চল স্বভাবের এবং নানা প্রতিভায় গুণান্বিত মানুষ ফজলুল করিম। নম্র ভদ্র ও বিনয়ী এই মানুষটি জীবনের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত এলাকার সার্বিক উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে কাজ করে যাচ্ছেন।
একটি সুন্দর আধুনিক উন্নত বাঞ্ছারামপুর গড়াই তার লক্ষ্য। তিনি তার কর্মজীবনে সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। নিজে একজন সফল রেমিটেন্স যোদ্ধা। তার জায়গায় দাঁড়িয়ে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বিভিন্ন স্কুল কলেজ, মসজিদ মাদ্রাসায় সহযোগিতা করেছেন। এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সাথেও জড়িত রয়েছেন।   
দেশের ক্রান্তিকালে করোনা মোকাবেলায় বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণ, মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক, গণসচেতনতা সৃষ্টি ও করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে গণসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে বেশ সুনাম অর্জন করেছেন। করোনাকালীন সময়ে বাঞ্ছারামপুরে অসহায় মানুষের মাঝে ফজলুল করিম তার ব্যক্তিগত উদ্যোগে উপহার সামগ্রী হিসেবে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন। দুঃসময়ের মানবতার ফেরিওয়ালাখ্যাত ফজলুল করিমের কাছে মানবতা আর মমতাই জীবনের এক নিদর্শন। শুধু করোনাই নয়, বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগে নিজের অবস্থান থেকে সাধ্যমতো সহযোগিতা করে এলাকাবাসীর পাশে দাঁড়িয়েছেন। ১৯৮৮ ও ১৯৯৮ সালের ভয়াবহ বন্যার সময় বাঞ্ছারামপুবাসীর পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন।  
ফজলুল করিম তার কর্মে, মেধা ও মানসিকতায় সমাজকে আলোকিত করে চলেছেন। যা মানুষ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে। সমাজকে আলোকিত করতে গিয়ে নিজেও হয়ে উঠেন আলোকিত মানুষ। উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গরীব মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের পাশে দাঁড়িয়ে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তিনি।
বর্তমান অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের ভক্ত আলহাজ¦ মো. ফজলুল করিম। তিনি এই সরকারকে স্বাগত জানিয়েছেন। আগামীদিনে একটি সুন্দর উন্নত সমৃদ্ধ বাঞ্ছারামপুর গড়ার প্রত্যয়ে আরও দ্বিগুণ উৎসাহে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তিনি বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সর্বস্তরের সাধারণ মানুষের দোয়া চেয়েছেন।

Side banner