Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১

মাহে রমজানে আমাদের করণীয় ও বর্জনীয়


দৈনিক পরিবার | আবদুল হাকিম, রাবি ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৫, ১০:৪৩ পিএম মাহে রমজানে আমাদের করণীয় ও বর্জনীয়

ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি স্তম্ভ রোজা। রোজার প্রতিটি মুহূর্ত মর্যাদাপূর্ণ। রোজার আরবি হলো সিয়াম। যার শাব্দিক অর্থ হচ্ছে সংযম, আত্মনিয়ন্ত্রণ, বিরত থাকা। সুবহে সাদিক উদিত হওয়ার পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সব ধরনের পানাহার ও যৌন সম্ভোগ থেকে বিরত থাকার নাম রোজা। পুরো রমজান মাস সিয়াম পালন করা ফরজ। হাদীস শরীফে এসেছে- ‘যে ব্যক্তি পূর্ণ বিশ্বাস সহকারে ছওয়াবের উদ্দেশ্যে রমযানের রোযা রাখে, আল্লাহ পাক তার জীবনের সকল গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন। ( সহীহ বুখারী, হাদীস ১৯০১)
এ মাসে প্রতিটি নেকিকে আল্লাহ বহুগুণ বৃদ্ধি করে দেন। এ মাসে রহমতের দরজা উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। হাদীস শরীফে এসেছে- ‘রমযান মাস শুরু হলেই রহমতের দরজা খুলে দেওয়া হয়।’ (সহীহ মুসলিম, হাদীস ১০৭৯/২ )
সব আদব রক্ষা করে পুরো মাস রোজা রাখা প্রত্যেক মুসলমানদের কর্তব্য। আল্লাহ তায়ালা বলেছেনঃ ‘‘হে ঈমানদারগণ, তোমাদের উপর রোযা ফরয করা হয়েছে, যেরূপ ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর, যেন তোমরা পরহেযগারীতা (তাকওয়া) অর্জন করতে পার’’। কাজেই তোমাদের মধ্যে যে লোক এ মাসটি পাবে, সে যেন এ মাসের রোজা রাখে’’। (সূরা বাকারাঃ ১৮৩ এবং ১৮৫)  
এ পবিত্র মাসে মুসলমানদের কিছু করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়ে আলোচনা করা হলো
১) কুরআনুল কারীম তেলাওয়াত করা :
এ মাস কুরআন নাযিলের মাস। রাসুলুল্লাহ (সা.) জিব্রাইল (আ.)-এর সঙ্গে রমজানের প্রত্যেক রাতে কোরআন মজিদ দাওর করতেন (একে অন্যকে শোনাতেন)। হাদিস শরিফে এসেছে, জিব্রাইল (আ.) রমজানের শেষ পর্যন্ত প্রত্যেক রাতে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন এবং রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁকে কুরআন শুনাতেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৯০২)
বিশিষ্ট সাহাবি ইবনে মাসউদ (রা.) রমজানে প্রতি তিন দিনে এক খতম কোরআন পাঠ করতেন। (ফাজায়েলে কোরআন, পৃষ্ঠা ১৮০)
২) তারাবির নামাজ আদায় করা: রমজানের রাতের বিশেষ আমল হলো কিয়ামে রমজান তথা তারাবি। এ মাসের অফুরন্ত রহমত ও মাগফিরাত লাভ করার জন্য এবং প্রতিশ্রুত সওয়াব ও পুরস্কার পাওয়ার জন্য তারাবি নামাজের গুরুত্ব অপরসীম। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি ঈমান ও সওয়াবের আশায় তারাবির সালাত আদায় করবে, আল্লাহ তার সব গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন। (বুখারি)
৩) আল্লাহর রাস্তায় বেশি বেশি দান করা : দান-সদকা সর্বাবস্থায়ই উৎকৃষ্ট আমল, কিন্তু রমজানে এর গুরুত্ব অনেক বেড়ে যায়। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) দুনিয়ার সব মানুষের চেয়ে বেশি দানশীল ছিলেন। রমজান মাসে তাঁর দানের হাত আরো প্রসারিত হতো। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১৯০২)
৪) বেশি বেশি নফল ইবাদত করা: এ মাসে শয়তান শৃঙ্খলাবদ্ধ থাকে। এই সুযোগে বেশি পরিমাণে নফল ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার নৈকট্য অর্জন করা যায়। অন্তত বিভিন্ন সময়ের নফল নামাজগুলো আদায় করা যেমন—ইশরাক, চাশত, তাহাজ্জুদ ইত্যাদি। এই মাসে একটি ভালো কাজের বিনিময়ে অনেক নেকি অর্জন করা সম্ভব। কাজেই প্রত্যেক মুমিনের উচিত যথাসম্ভব ভালো কাজ করা। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, এই মাসের প্রতি রাতে একজন ঘোষণাকারী এই বলে আহ্বান করতে থাকে, হে কল্যাণের অনুসন্ধানকারী, তুমি আরো অগ্রসর হও। হে অসৎ কাজের পথিক, তুমি অন্যায় পথে চলা বন্ধ করো। তুমি কি জানো, এই মাসের প্রতি রাতে আল্লাহ কত লোককে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়ে থাকেন? (তিরমিজি, হাদিস : ৬৮৪)
৫) ইফতার করা ও অন্যকে ইফতার করানোঃ রমজান মাসে ফজিলতপূর্ণ কয়েকটি আমলের মধ্যে একটি আমল হলো দ্রুত ইফতার করা, বিলম্ব না করা। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি সিয়াম পালন করবে, সে যেন ইফতারের সময় খেজুর দিয়ে ইফতার করে। আর খেজুর না পেলে যেন পানি দিয়ে ইফতার করে। কেননা পানি হলো অধিক পবিত্র। (আবু দাউদ, হাদিস : ২৩৫৭) রোজাদারকে ইফতার করানো বিরাট সওয়াবের কাজ। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে, সে তার রোজার সমপরিমাণ সওয়াব লাভ করবে। কিন্তু তাদের উভয়ের সওয়াব থেকে বিন্দুমাত্রও হ্রাস করা হবে না। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৭৪৬)
৬) মাগফিরাত কামনা করা : যে ব্যক্তি রমজান পেয়েও নিজের গুনাহ ক্ষমা করাতে পারল না, তার ওপর জিবরিল (আ.) ও রাসুলুল্লাহ (সা.) অভিসম্পাত করেছেন। তাই জীবনের কৃত গুনাহের কথা স্মরণ করে বেশি বেশি তাওবা-ইস্তিগফার করা, বিশেষ করে ইফতার ও তাহাজ্জুদের সময় আল্লাহ তাআলার দরবারে ক্ষমা চাওয়া এবং দোয়া করা উচিত।
৭) শবে কদর অন্বেষণ করা : ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে রাত্রি জাগরণ করে সহস্র রজনী অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ ও উত্তম রাত লাইলাতুল কদর তালাশ করা কর্তব্য। এই রাতের গুরুত্ব বোঝাতে পবিত্র কোরআনে পৃথক একটি সুরা নাজিল করা হয়েছে। নিশ্চয়ই আমি কুরআনকে শবে কদরে নাজিল করেছি। তুমি কি জানো শবে কদর কী? শবে কদর এক হাজার মাস অপেক্ষাও শ্রেষ্ঠ। সে রাতে ফেরেশতাগণ ও রূহ প্রত্যেক কাজে তাদের প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে অবতীর্ণ হয়। সে রাত (আদ্যোপান্ত) শান্তি ফজরের আবির্ভাব পর্যন্ত। (সূরা কদর, আয়াত : ১-৫)। সামর্থ্য থাকলে ওমরাহ পালন করা রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, এ মাসে একটি ওমরাহ পালন হজ আদায়ের সমতুল্য। (বুখারি, হাদিস : ১৮ )
৮) ইতিকাফ : শেষ দশকের মাসনুন ইতিকাফ অত্যন্ত ফজিলতের আমল। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজানের শেষ ১০ দিন ইতিকাফ করতেন। (বুখারি, হাদিস : ২০২১)
৯) ফিতরা দেওয়াঃ রোজার ত্রুটি-বিচ্যুতি পূরণে ফিতরা দেওয়া আবশ্যক। রাসুলুল্লাহ (সা.) ঈদের নামাজের আগে ফিতরা আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন। (বুখারি, হাদিস : ১৫০৩)
১০) সামর্থ্য থাকলে ওমরাহ পালন করাঃ রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, এ মাসে একটি ওমরাহ পালন হজ আদায়ের সমতুল্য। (বুখারি, হাদিস : ১৮ )
রমজানে বর্জনীয় কাজঃ
১) ইফতার পার্টি নামে ফাজলামো না করাঃ আমাদের সমাজে এক শ্রেণির মানুষ আছে রমজান মাস আসলে তারা ইফতার মাহফিলের নামে নারী-পুরুষ বেপর্দা ও বেহায়াপনার মাধ্যমে একত্রে বসে ইফতার করে। যেটাকে তারা নাম দিয়েছে ইফতার পার্টি। পার্টি ইসলামিক নন-ইসলামিক সব অনুষ্ঠানের জন্য ব্যবহার করা যায়। কিন্তু মাহফিল শুধু ইসলামিক অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। সুতরাং ইফতার পার্টি না বলে ইফতার মাহফিল বলাটা উত্তম মনে করি। ইসলামে পর্দার বিধান ফরয, এই ফরয হুকুমকে অমান্য করে ইফতারের নামে প্রচলিত ইফতার পার্টি নামক যে বেহায়াপনা ছড়ানো এটা ইসলাম পছন্দ করে না। আমাদের সবার উচিৎ এই ইফতার পার্টির নামে বেহায়াপনা না করা।
২) রমজান ও ব্যবসায়িক শোষণ: রোজার মাসে মুনাফা নয়, বরং মেহেরবানি প্রয়োজন । রমজান এলেই সমাজে নিচু মানসিকতা সম্পন্ন একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীর প্রাদুর্ভাব বেড়ে যায়। প্রতি রমজানেই নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির একটি প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়। যা আমাদের জন্য অত্যন্ত লজ্জাকর । যদিও অনেক বিত্তশালী মুসলমান এ মাসে প্রচুর দান করে থাকেন, অনেকে জাকাত দিয়ে থাকেন, দুস্থ-অসহায়ের খোঁজখবর নিয়ে থাকেন, রোজাদারদের ইফতার করিয়ে থাকেন, কিন্তু এসব নেক আমল ও জনকল্যাণমূলক কাজ চাপা পড়ে যায় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কাছে। নবী কারীম (সা.) বলেছেন-কেউ যদি খাদ্য গুদামজাত করে কৃত্রিম উপায়ে সংকট তৈরি করে, আল্লাহ তাকে দুরারোগ্য ব্যাধি ও দারিদ্র্য দ্বারা শাস্তি দেন।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ : ২/৭২৯)।
৩) অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা: রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কত রোজা পালনকারী এমন আছে, (রোজা অবস্থায় মন্দ কথা ও কর্ম থেকে বিরত না থাকার ফলে) ক্ষুধা ও পিপাসা ছাড়া রোজা থেকে সে আর কিছু লাভ করতে পারে না। অনুরূপ অনেক রাত জাগরণকারী এমন আছে যে রাত জেগে থাকার কষ্ট ছাড়া সে আর কিছু পায় না। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৬৯০)
৪) বিবাদ ও বেহায়াপনা: মাহে রমজানে মুমিনকে যাবতীয় ঝগড়া-বিবাদ, মারামারি, অশ্লীল কথা ও বেহায়াপনা থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে, বিশেষ করে টিভি ,ইউটিউবএ গান-বাজনা ও টিভি ও মোবাইলের অশ্লীলতা থেকে দূরে থাকতে হবে। তবেই সিয়ামের সওয়াব ও উচ্চ মর্যাদা লাভ করা যাবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, যখন তোমাদের কেউ সিয়াম পালন করবে, তখন সে কোনো মন্দ কথা বলবে না এবং বাজে বকবে না। যদি কেউ তাকে গালি দেয় বা লড়াই করতে আসে তখন সে যেন বলে, আমি রোজাদার। (বুখারি, হাদিস : ১৯০৪)
৫) অধীনস্থদের কাজের চাপ লাঘব করে দেওয়া: যার ওপর সওম ফরজ, এমন প্রত্যেক কর্তাব্যক্তিদের কর্তব্য হলো, নিজে এ ফরজ ইবাদতটিকে যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে আদায় করবে এবং সেই সঙ্গে অধীনস্থ রোজাদার কর্মীর কাজের ভার কিছুটা লাঘব করার চেষ্টা করবে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘এ মাসে (রমজানে) যারা দাস-দাসীর প্রতি সদয় ব্যবহার করে, অর্থাৎ তাদের কাজের বোঝা হালকা করে দেয়, আল্লাহ তাদের প্রতি দয়াপরবশ হয়ে ক্ষমা করে দেন। জাহান্নামের আগুন থেকে তাদেরকে রক্ষা করেন।’ (সহিহ ইবনে খোজায়মা : ৩/৩৪১)। এটি যেমন এক রোজাদার বান্দার ওপর অনুগ্রহ, তেমনি একটি ফরজ ইবাদত আদায়ের ক্ষেত্রে সহযোগিতা। পাশাপাশি তা ফরজ আদায়ে উৎসাহিত করারও একটি উপায়। রাসুল (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ তোমাদের ভাইদের তোমাদের অধীন করে দিয়েছেন। অতএব, যার অধীনে কোনো ভাই থাকে, তাকে তা-ই খাওয়াবে, যা সে নিজে খায়; তাকে তা-ই পরাবে, যা সে নিজে পরে এবং তাকে সাধ্যের অধিক কাজ চাপিয়ে দেবে না। অগত্যা তাকে দিয়ে যদি কোনো কষ্টের কাজ করাতে হয়, তাহলে তাকে সাহায্য করবে।’ (বোখারি : ২৫৪৫, মুসলিম : ১৬৬১)।
৬) গিবত না করা: গিবত আমল ধ্বংসের নীরব ঘাতক। গিবতের কারণে কখন যে আপনার আমল ধ্বংস হয়ে যাবে তা বুঝতেই পারবেন না। গিবত জিনার চেয়েও জঘন্যতম গুনাহ। তাই গিবত পরিহার উচিত।
৭) অপচয় ও অপব্যয় না করা: অপচয় কিংবা অপব্যয় করা খুবই বাজে ও গর্হিত অভ্যাস। পবিত্র কোরআনে অপব্যয়কারীকে শয়তানের ভাই বলা হয়েছে। অপচয়-অপব্যয় ত্যাগ করার অর্থ হলো মধ্যপন্থা অবলম্বন করা।
৮) রিয়া বা লোক-দেখানো ইবাদত : রিয়া হলো লোক-দেখানো ও আত্মপ্রদর্শনকারী কাজ বা আমল। রিয়া করা শরিয়তে সম্পূর্ণরূপে হারাম। শিরক হলো দুই প্রকার। আর এ রিয়া হলো ছোট শিরক। ফলে রিয়া থেকে অবশ্যই বেঁচে থাকতে হবে।
৯) মিথ্যা থেকে বেঁচে থাকা : মিথ্যাকে সব পাপের জননী বলা হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে রোজা রেখেছে অথচ মিথ্যাচার পরিহার করেনি, তার এই কৃত্রিম পানাহার বর্জনের কোনো প্রয়োজন আল্লাহর কাছে নেই। (বুখারি, হাদিস : ১৯০৩)
১০) বিদয়াত কর্মকাণ্ড থেকে বেরিয়ে আসা :
রমজান মাসের শেষ ১০ দিন অনেক বরকতময়। এ দশকের যে কোনো বিজোড় রাতে লাইলাতুল কদর হওয়ার অধিক সম্ভাবনা। তাই এ সময়টা সর্বোচ্চ আগ্রহ নিয়ে ইবাদতে মশগুল থাকা কাম্য ছিল। অথচ আমাদের সমাজে কিছু শ্রেণির মানুষ আছে যারা ২৭ ই রমজানকেই লাইলাতুল কদর মনে করে যেটা একদমই ঠিক না। আমাদের উচিত রমজান মাসের শেষ ১০ দিনে বিজোড় রাতে লাইলাতুল কদর সন্ধান করা। সমাজে প্রচলিত ‘সাতাইশা’-এর নামে শুরু হয় কোরআন-সুন্নাহবিরোধী বেদাতি সব কর্মকাণ্ড। নূন্যতম দ্বীনদার হলেও এসব ক্ষতিকর রেওয়াজ-প্রথা থেকে বেরিয়ে আসা আমাদের কর্তব্য। বেদাতের বিরুদ্ধে রাসুল (সা.) অত্যন্ত কঠিন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই সর্বোত্তম বাণী আল্লাহর কিতাব, আর সর্বোত্তম আদর্শ মুহাম্মদ (সা.)-এর আদর্শ। সবচেয়ে নিকৃষ্ট বিষয় হলো, (দ্বীনের মধ্যে) নব-উদ্ভাবিত বিষয়। (দ্বীনের মধ্যে) নব-উদ্ভাবিত সবকিছুই বিদয়াত। প্রত্যেক বিদয়াত ভ্রষ্টতা। আর প্রত্যেক ভ্রষ্টতার পরিণাম জাহান্নাম।’ (মুসলিম : ১৫৩৫, নাসাঈ : ১৫৬০)। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আমাদের পক্ষ থেকে স্বীকৃত নয়, এমন কোনো আমল করল, তা প্রত্যাখ্যাত হবে।’ (বুখারি : ২৬৯৭, মুসলিম : ১৭১৮)।
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে রমজানের সকল রোজা রাখার তাওফিক দান করুন এবং পাশাপাশি এ পবিত্র মাসে যে কাজগুলো আমাদের করণীয় তা করার তাওফিক দান করুক এবং যে কাজগুলো বর্জনীয় তা থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুক। (আমিন)

Side banner