রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আন্তঃবিভাগ ফুটবল প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগ। খেলায় টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে বাংলা বিভাগকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় মনোবিজ্ঞান বিভাগ। খেলার নির্ধারিত সময়ে ০-০ গোলে ড্র হয়েছিল।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেডিয়ামে আন্তঃবিভাগ গেমস সাব কমিটির আয়োজনে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শরীরচর্চা শিক্ষা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় এই প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, "আমরা সবাই একটি অসাধারণ ফাইনাল ম্যাচ উপভোগ করলাম। কে কতটুকু ভালো খেলেছে এটা নির্ধারণ করা খুবই কঠিন। আজকের খেলায় অসাধারণ পরিবেশ ছিলো এবং সবাই খুবই স্পিরিট দিয়ে খেলেছে। তোমাদের মাঝে আমরা তো এমন ভ্রাতৃত্বই দেখতে চাই।
অনুষ্ঠানে আন্তঃবিভাগ গেমস সাব কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান মন্ডলের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহা. ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, "আজকের এই খেলায় কিন্তু কেউই জয়ী বা কেউই পরাজিত নয়। দিনশেষে দুটি দলই জয়ী হয়েছে। এই খেলাকে কেন্দ্র করে যে আবেগ ও ভালোবাসা দেখেছি, সেটি আমাকে আবেগাপ্লুত করেছে। খেলায় একটি দলের পরাজয়ে সেই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মন খারাপ। তা দেখে বিভাগের শিক্ষিকারাও কান্না করছে এমন দৃশ্যও আমি লক্ষ্য করেছি।"
শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে উপ-উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, "তোমরা সবাই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। খেলার মাঠে সবার মধ্যে প্রতিদ্বন্দিতা থাকবে কিন্তু মাঠের বাইরে সবাই বন্ধু। খেলা নিয়ে যেন আর কোনো লড়াই বা সহিংসতা না ঘটে সেদিকে তোমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে।"
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন শরীরচর্চা শিক্ষা বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. আহসান উল আলম। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মতিয়ার রহমান, সম্মানিত অতিথি রাবি ফুটবল প্লেয়ার অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক নাসিম রেজাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদ, প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, ছাত্র উপদেষ্টা আমিরুল ইসলাম কনক, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার।
উল্লেখ্য, উক্ত খেলায় খেলোয়াড় হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ড. তরুণ কুমার জোয়াদ্দার। তিনি বলেন," ছাত্রাবস্থায় আমি খেলাধুলার সঙ্গে জড়িত ছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার পরও খেলাধুলার প্রতি একটা অসাধারন টান কাজ করে। আমাদের বিভাগ এর আগে কখনো ফাইনাল খেলেনি। বিজ্ঞান অনুষদের বিভাগ হিসেবে এটা আমাদের জন্য অনেক গর্বের বিষয়। ভবিষ্যতেও এরকম আয়োজনে মনোবিজ্ঞান বিভাগের অংশগ্রহণ সবসময় সোচ্চার থাকবে।"
প্রসঙ্গত, গত ১১ নভেম্বর শুরু হওয়া এই আন্তঃবিভাগ ফুটবল প্রতিযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৮টি বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের দল অংশগ্রহণ করে।
আপনার মতামত লিখুন :