সুনামগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী খেলা কুস্তিগিরি প্রতিযোগিতার পৃষপোষক সংগঠন জেলা কুস্তি এসোসিয়েশনের প্রথম প্রতিনিধি সভা সম্পন্ন হয়েছে।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বেলা ২ টায় সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের বাণী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাণীপুর গ্রামের সাবেক কুস্তিগীর আজির উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং কবি ও সাবেক কুস্তিগীর সহিদ মিয়ার সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মোহনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দানবীর মঈনুল হক।
প্রতিনিধিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ফকির নগর গ্রামের কৃতি সন্তান অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান, আফতাব উদ্দিন শ্রীপুর, আজির উদ্দিন মাগুরা, আরব আলী শাখাইতি, গোলাম রব্বানী হোসেন নগর, হারুন মিয়া ফলকপুর, আজিজুর রহমান বালিজুড়ি, সাদেক আলী শেরমস্তপুর, নুরুল ইসলাম শাহীন নূরুল্লা, বাতেল আলী বিছনা, জাহির উদ্দিন উলুতুলু, ফারুক মিয়া আনোয়ারপুর, মুক্তাদির হবতপুর, নিজাম উদ্দিন বর্মোত্তর, আলী আহমদ ফুলভরী, জহুর মিয়া লিটন জলিলপুর, সেলিম আহমদ হবতপুর এবং গোলাম রব্বানী শ্রীপুর।
বক্তব্যে বক্তারা বলেন, কুস্তি সুনামগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী খেলা। এই খেলা আমাদের পুর্ব পুরুষ থেকে এখন পর্যন্ত চলমান। আমরা এই খেলাকে কেবল গ্রামের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে জাতীয় পর্যায়ে খেলার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। জেলা কুস্তি এসোসিয়েশনের কুস্তি দলগুলো আগামীতে গ্রাম টু গ্রাম দাওয়াতী খেলার পাশাপাশি টুর্নামেন্টও খেলবে। এই খেলা কেবল গ্রামে খেললেই হবেনা, ব্যাপক পরিচিতির জন্য খেলার পরিসর বাড়াতে জেলা কুস্তি এসোসিয়েশন কাজ করবে।
জেলা কুস্তি এসোসিয়েশন, সুনামগঞ্জের সভাপতি উপসচির, রাষ্ট্রদূত ড. মো. শাহ নুর আলম বলেন, আমি নিজে একজন কুস্তিগীর। আমি মন থেকে এই খেলা ধারণ করি। এই খেলার সাথে সুনামগঞ্জের মানুষের আবেগ জড়িত। আমি চাই এই খেলা থেকে যেন খেলোয়াররা আর্থিকভাবে লাভবান হোন। এজন্য আমি সাংগঠনিক ভাবে কাজ করার চেষ্টা করছি। জেলা কুস্তি এসোসিয়েশনের দলগুলো ভালো পৃষ্ঠপোষকতা পেলে নিশ্চয়ই ভালো করবে।
সভায় আগামী ১১ এবং ১২ ডিসেম্বর শেরমস্তপুর পঞ্চগ্রামে এবং ১৪ এবং ১৫ ডিসেম্বর বাণীপুর মাঠে তাদের কুস্তি প্রতিযোগিতার সিদ্ধান্ত হয়।
আপনার মতামত লিখুন :