Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১

লোহাগড়া মোল্লার মাঠের সংস্কারের অনুদান গায়েব


দৈনিক পরিবার | রাশেদ রাসু আগস্ট ২৭, ২০২৪, ০৪:৫৩ পিএম লোহাগড়া মোল্লার মাঠের সংস্কারের অনুদান গায়েব

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী মোল্লার মাঠ, যা বর্তমানে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নামে পরিচিত, দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। মাঠের ঘাস জীর্ণ, মঞ্চে ফাটল, বসার স্থানগুলোও ব্যবহারের অনুপযোগী। অথচ এই মাঠ সংস্কারের জন্য বিভিন্ন সময়ে অনুদান এসেছে। কিন্তু সেই অর্থ কোথায় ব্যয় হয়েছে, তার কোনো হদিস নেই। এলাকাবাসীর মতে, মাঠ এবং মঞ্চের সংস্কারের জন্য যে অর্থ বরাদ্দ হয়েছিল, তা আত্মসাৎ করা হয়েছে।
এলাকার ক্রীড়ামোদী এবং সাধারণ জনগণ এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের দাবি, অনুদানের অর্থ আত্মসাৎ করার কারণে মাঠের কোনো উন্নয়ন হয়নি।
এলাকার একজন প্রবীণ ক্রীড়ামোদী বলেন, মোল্লার মাঠ একসময় খেলাধুলার প্রাণকেন্দ্র ছিল। এখানে নানান টুর্নামেন্ট হতো, যা এখন শুধুই স্মৃতি। মাঠের যা অবস্থা, তাতে বড় কোনো খেলার আয়োজন করা এখন সম্ভব নয়। মাঠের মঞ্চটি ধ্বংসের মুখে। এত অনুদান এলো, কিন্তু মাঠের কিছুই হলো না।
অনেকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন উপজেলা সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এবং তার সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দিকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আমরা বহুদিন ধরে অভিযোগ শুনে আসছি। তারা মাঠ সংস্কারের অনুদানের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। কোনো কাজ না করেই তারা সেই অর্থ তুলে নিয়েছেন।
এলাকার ক্রীড়া সংগঠকদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। লোহাগড়া ক্রীড়া সংগঠনের এক কর্মকর্তা জানান, এখনকার শিশু-কিশোররা ভালো মাঠের অভাবে খেলাধুলা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। যদি মাঠটি সংস্কার করা যেত, তবে এখান থেকে আরও অনেক প্রতিভা বেরিয়ে আসতে পারত।
এই ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা জানান, মাঠের সংস্কার নিয়ে যে অভিযোগগুলো উঠেছে, সেগুলো তদন্ত করে দেখা হবে। যদি অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে অনেকেই মনে করেন, এই তদন্তে বিশেষ কিছু প্রাপ্তি হবে না এবং দোষীরা পার পেয়ে যাবে।
মোল্লার মাঠের ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার করতে হলে দ্রুত সংস্কার কার্যক্রম শুরু করা প্রয়োজন বলে এলাকাবাসী মনে করছেন। তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন, যাতে মাঠটি আবারও খেলাধুলার উপযোগী হয়ে ওঠে এবং নতুন প্রজন্মের খেলোয়াড়রা অনুপ্রাণিত হতে পারে।

Side banner