হারের আগে লড়াই করতে যা বোঝায় তা-ই করল বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়েকে ছোট্ট লক্ষ্য দিয়ে পরে টেস্ট জমিয়ে হার নিয়েই মাঠ ছাড়লেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। এতে ঘরের মাঠে ৪ দিনেই ম্যাচ হারল বাংলাদেশ। ৩ উইকেটের জয়ে দুই টেস্টের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল সফরকারীরা।
সর্বশেষ ২০১৮ সালেও সিলেটেই জিতেছিল জিম্বাবুয়ে। আজ ১৭৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দারুণ শুরু পেয়েছিল জিম্বাবুয়ে। ওপেনিংয়ে ৯৫ রানের জুটি গড়েন বেন কারান-ব্রায়ান বেনেট। এতে বড় জয়ের স্বপ্নই দেখছিল তারা। তবে তা হতে দেননি মেহেদী হাসান মিরাজ আর তাইজুল ইসলাম। বিশেষ করে মিরাজ। প্রথমের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দেন তিনি। শুরুটা করেন ৪৪ রান করা কারানকে দিয়েই।
এরপর এক এক করে আরো ৪ উইকেট তুলে নিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারে ১২তম বারের মতো ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন। তাতে বাংলাদেশের হয়ে তৃতীয় বোলার হিসেবে টেস্টে ২০০ উইকেট নেওয়ার মাইলফলক ছুঁয়েছেন তিনি।
এমন মাইলফলকের দিনে টেস্টটা জমিয়েও হার নিয়েই মাঠ ছেড়েছেন মিরাজ। তার ঘূর্ণিতে বিনা উইকেটে ৯৫ রান করা দলটি একটা সময় ১৪৫ রান করে ৬ উইকেট হারিয়ে। অর্থাৎ, ৫০ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং ধসে পড়ে জিম্বাবুয়ে। এতে জিম্বাবুয়ের জয়ের জন্য প্রয়োজন দাঁড়ায় ২৯ রান। আর বাংলাদেশের ৪ উইকেট। শেষ দিকে বাংলাদেশ আরেকটি উইকেট পেলেও জয় পায়নি।
ব্যাটিং ধসে পড়া জিম্বাবুয়েই জয়টা পেয়েছে। পারফরম্যান্সের হিসেবে জয়টা তাদেরই প্রাপ্যও ছিল। লক্ষ্যটা কম হওয়া জয়টা পেয়েছে তারা। শেষ দিকে ওয়েসলি মাধেভেরে ১৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে জয়টা এনে দিয়েছেন। তবে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করে জয়ের ভিতটা গড়ে দিয়েছেন ওপেনার বেনেটই। এতে একটা রেকর্ডও গড়েছে জিম্বাবুয়ে। সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়। এর আগে ১৬২ রান তাড়া করে জিতেছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে, ১৯৯৮ সালে। সেদিন ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতেছিল তারা।
জিম্বাবুয়ের জয়ে নাজমুল হোসেন শান্তর কথাই সত্যি হয়েছে। টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে বাংলাদেশের অধিনায়ক জানিয়েছিলেন, অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকার মতোই শক্তিশালী দল জিম্বাবুয়ে। আজ বাংলাদেশকে হারিয়ে তাই প্রমাণ করল জিম্বাবুয়েও।
আপনার মতামত লিখুন :