এর আগেও তিনি এসেছেন। তবে নিরবে-নিভৃতে সময় কাটিয়ে আবার ফিরে গেছেন ইংল্যান্ডে। কিন্তু এবার তার আগমণ ঘটা করে, ঘোষণা দিয়েই। তাই হামজা চৌধুরীকে বরণ করতে হবিগঞ্জের বাহুবলের স্নানঘাট গ্রামে এখন সাজ সাজ রব।
যেন উৎসবের আমেজ। ইংল্যান্ড থেকে সোমবার সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে নেমে হামজা সরাসরি চলে যাবেন হবিগঞ্জে। যেকারণে সিলেটে তার নেই কোনো কার্যক্রম। তাই বলে ভক্তকুল তো বসে রইবে না! বিমানবন্দরে হামজাকে বরণ করতে দূর-দুরান্ত থেকে ফুটবলপ্রেমীরা হাজির হয়েছেন সিলেট জেলা শহরে।
সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে সরব বাংলাদেশ ফুটবল আল্ট্রাস গ্রুপ। দেশের মাটিতে বাংলাদেশের খেলা হলেই গ্যালারিতে তাদের উন্মাদনা দেখা যায়। হামজাকে এয়ারপোর্টে বরণ করতে গ্রুপের সদস্যরা দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে সিলেটে এসেছেন আগেভাগেই।
সিলেটে অনেক স্থানীয় ফুটবল সমর্থকও তাদের গ্রুপের সদস্য। সোমবার সকালে অন্তত এক শ সমর্থক নিয়ে এয়ারপোর্টে যাবে গ্রুপটি।
গ্রুপের একজন বলেছেন, ‘আমরা অনেক আগে থেকেই পরিকল্পনা করেছিলাম। এ জন্য রবিবার সকাল বেলা রওনা দিয়ে আগেভাগে সিলেট এসেছি। এত বড় তারকাকে একনজর দেখার জন্য আমরা বিভিন্ন জেলা থেকে এসেছি।
হামজার আগমণে সিলেটের স্থানীয়দের মধ্যে রোমাঞ্চের ঢেউ খেলে যাচ্ছে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা ফুটবলার যে তাদের সিলেটে পা রেখে তারপর হবিগঞ্জে যাবেন। একসময় আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ ও মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়া সংসদের গোলরক্ষকের দায়িত্ব পালন করা সিলেটের খালেদ আহমেদ বলেছেন, ‘সরাসরি হবিগঞ্জে চলে যাবে তাই সিলেটে কোনো আয়োজন নেই। তবে মানুষের মধ্যে আগ্রহ আছে। দেখবেন অনেকেই এয়ারপোর্টে চলে যাবে তাকে দেখতে। এই সুযোগ তো কেউ হাতছাড়া করতে চাইবে না। তবে এখানে কোনো কার্যক্রম থাকলে আমাদের ভালো লাগতো।’
হামজা এবার আসছে বাংলাদেশের একজন হয়ে। ফুটবলের সবুজ গালিচায় দাপিয়ে বেড়াবেন লাল-সবুজের জার্সি গায়ে। আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। ২৫ মার্চ শিলংয়ে ভারতের বিপক্ষে প্রথমবার বাংলাদেশের হয়ে খেলবেন তিনি। তার আগে আজ সোমবার থেকেই শুরু হচ্ছে হামজার অভিষেকের দিন গণনা।
আপনার মতামত লিখুন :