বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের হরিখালী বাজার সংলগ্ন মহাশ্মশানটিতে এখন কমিটি সহ এলাকার অর্থায়নে দৃশ্যমান মৃত ব্যক্তিকে দাহ কার্য সম্পন্ন করার চিতা।
স্থানীয়রা জানান, চিতা নির্মাণ হলেও এখন দরকার চিতার উপর ছাউনীর। এদিকে শ্মশানে প্রতি বছর ফাঁকা জায়গায় কালী পুজা অনুষ্ঠিত হলেও অর্থের অভাবে এখনো নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। এছাড়াও একটি যাত্রীছাউনি হলে বৃষ্টি থেকে রেহাই মিলবে এলাকাবাসীর।
কমিটির সভাপতি গৌরাঙ্গ চন্দ্র সরকার বলেন, মধুপুর ও তেকানী ঢুকাইনগর ইউনিয়নের সনাতন ধর্মাবলম্বী (হিন্দু) সম্প্রদায়ের প্রায় ২৫০ পরিবারের বসবাস। এ এলাকার হিন্দু পরিবারের মৃত ব্যক্তিদের সৎকারের একমাত্র ভরসা হলিখালী মহাশ্মশান। এ শ্মশানে ফাঁকা জায়গায় কালী পুজা হওয়ার কারণে ১টি কালী মন্দির খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অপরদিকে বর্ষা মৌসুমে মৃত্যু ব্যক্তিকে দাহ কার্য ব্যাপকভাবে বিঘ্নিত হয়। ফলে এখানে ১টি যাত্রী ছাউনীর নির্মাণের বিশেষ প্রয়োজন।
তিনি আরো বলেন, শ্মশান উন্নয়ন তথা সংস্কার এবং মন্দির নির্মাণে সরকারি ভাবে বা বিত্তশালীরা যদি এগিয়ে এসে আর্থিক সহযোগিতা দেয় তাহলে হয়তবা আমাদের শ্মশানটি হবে দৃষ্টি নন্দন, ঘটবে এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের সমস্যর সমাধান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন শ্মশান কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্রী নারায়ন চন্দ্র সরকার, ক্যাশিয়ার শ্রী গনেশ চন্দ্র চৌধুরী, সদস্য শ্রী শ্রী মলীন চন্দ্র দেবনাথ, শ্রী বিপ্লব চন্দ্র সরকার ও চিকিৎসক শ্রী নিমাই চন্দ্র সরকার।
আপনার মতামত লিখুন :