সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। আগামীকাল বুধবার (৯ অক্টোবর) ষষ্ঠী পুজার মধ্যে দিয়ে শুরু হবে পুজার অনুষ্ঠানিকতা। যা উদযাপিত হবে আগামী রোববার (১৩ অক্টোবর) দশমী পর্যন্ত।
এ উৎসবকে ঘিরে প্রতিমা প্রতিটি মন্দিরে মন্দিরে শিল্পীর রং তুলির আঁচড়ে সুসজ্জিত করে দেবী দুর্গাকে আসনে বসানো হয়েছে। সেই সাথে অপরূপ সাজে সাজানো হয়েছে সোনাতলা উপজেলার মন্দিরগুলোকে। মন্দির সহ রাস্তায় রাস্তায় করা হয়েছে আলোক সজ্জা। পুজা উপলক্ষে মার্কেটে মার্কেটে প্রচন্ড ভীড় লক্ষ্য করা গেছে, বেড়েছে বেচাকেনা।
সরেজমিনে সোনাতলা রাম নারায়ণ বিহানী কেন্দ্রীয় দুর্গামন্দির সহ আরো বেশ কয়েকটি মন্দির ঘুরে দেখা গেছে, মন্দির গুলোতে আসতে শুরু করেছে দর্শনার্থী। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও মন্দিরগুলোকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রেখেছেন।
থানা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে পুলিশি টহল ব্যাপক বৃদ্ধি করা হয়েছে। এদিকে মন্দির গুলোতে হিন্দু ধর্মালম্বীদের পুরোহিত পুজার উপকরণ সাজিয়ে পুজায় একেবারেই ব্যস্ত সময় পার করছেন।
কানুপুর মিস্ত্রী পাড়া সর্বজনীন পূজা কমিটির নেতা রাধিকা সুত্রধর জানান, দুর্গা পুজাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই বাড়ি বাড়ি এসেছে আত্নীয় স্বজন এবং মন্দির সহ বাহিরে আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
উপজেলা পুজা কমিটির অন্যতম নেতা ও হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের উপজেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক বিকাশ স্বর্ণকার জানান, শারদীয় দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে ইতিপূর্বে বিভিন্ন দপ্তরে মতবিনিময় সভা করা হয়েছে এবং প্রতিটি মন্দিরে মন্দিরে আনসার ও ভিডিপি সদস্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত করেছে সরকার।
এ বিষয়ে সোনাতলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিলাদুন নবী বলেন, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ইতিমধ্যেই যথেষ্ট তৎপর রয়েছে প্রতিটি মন্দিরে মন্দিরে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে সেই সাথে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীও এলাকায় টহল জোরদার করেছে।
আপনার মতামত লিখুন :