খুলনার পাইকগাছায় জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সদস্য মাওঃ আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, আমরা ন্যায় ও ইনছাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এ জন্য দীর্ঘদিন ধরে সংগ্রাম করছি। এ লক্ষে সব ধর্ম-বর্ণ সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে ঐক্য ও ভাতৃত্বের বন্ধন গড়ে তোলা জরুরী।
শনিবার (৫ অক্টোবর) সকালে পাইকগাছা পৌরসভাস্থ কেন্দ্রীয় পূজা মন্দির সরল কালীবাড়িতে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে পূজা উদযাপন পরিষদ ও মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দের মতবিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
সভায় ৫ আগস্টে শেখ হাসিনা' সরকারের বিদায়ের পর দেশের বিভিন্ন স্থানের মত পাইকগাছায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়ি ঘরে হামলা-ভাংচুর ও লুটপাটের প্রসঙ্গ উঠলে তিনি বলেন, এ সংকট মুহুর্তে জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীরা সাধ্যমত সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সহায় সম্পদ রক্ষার আপ্রান চেষ্টা করেন। তবে যে সব দুর্বত্তরা এসব ঘটনায় জড়িত তাদেরকে চিহ্নত করে দমন ও আইনের আওতায় আনা হবে বলে তিনি জানান। তিনি আরোও বলেন, দেশে সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষ স্বাধীন ভাবে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালন করবে। ইসলাম কারোর ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে না, আর করবেও না। যারা এটা করবে তাদেরকে কঠোর হস্তে প্রতিহত করার ঘোষনা দেন তিনি।
উপজেলা জামায়েত ইসলামীর আমীর মাওঃ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সম্পাদক মাওঃ আলতাফ হুসাইন এর সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সমীরন সাধু,জেলা-উপজেলা জামায়েত নেতৃবৃন্দের মধ্যে মাওঃ আমিনুল ইসলাম, কাজী তমজীদ আলম, ডাঃ আসাদুল হক, মিজানুর রহমান, আঃ মজিদ, শফিকুল ইসলাম, আঃ খালেক, মাওঃ বুলবুল আহম্মেদ, আঃ রহিম, মোর্তজা জামান আলমগীর রুলু ও ছাত্রশিবির নেতা আবু জাল আল গিফারী।
সভায় উপজেলা ও পৌরসভা পূজা উদযাপন পরিষদ, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদসহ মন্দির কমিটি নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, প্রানকৃষ্ণ দাশ, বাবুরাম মন্ডল,মু রারী মোহন সরকার, সন্তোষ কুমার সরকার, উত্তম সাধু, সুনিল মন্ডল, দীপক মন্ডল, মনোহর সানা, সাংবাদিক বি. সরকার, স্নেহেন্দু বিকাশ, প্রকাশ ঘোষ বিধান, কার্তিক দেবনাথ, অখিল মন্ডল, সন্তোষ সরকার, সুরঞ্জন চক্রবর্তী,উজ্জ্বল মন্ডল, পিযুষ সাধু, বিশ্বনাথ দাশ, প্রজিৎ রায়, কনক চন্দ্র সরকার, প্রমথ নাথ সানা, মিলন রায় চৌধুরী, তিরুনাথ বাছাড়, রামপ্রসাদ সানা প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :