গাইবান্ধা জেলা সদরে আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে একটি প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২ অক্টোবর) দুপুরে সদর উপজেলা প্রশাসনের হল রুমে এ প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রস্তুতি সভার শুরুতেই সুচনা বক্তব্য রাখেন সভার সভাপতি সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহমুদ আল হাসান। মাহামুদ আল হাসান সভার শুরুতে তার নিজের পরিচয় প্রদান করেন এবং উপস্থিত অতিথিদের পরিচয় প্রদান করতে বলেন।
উপস্থিত সুধীজন তাদের পরিচয় প্রদান করলে সদর উপজেলার পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ও সদস্য সচিব সদর উপজেলায় পৌরসভা সহ ১৩টি ইউনিয়নে মোট ৯৫ টি পূজা মন্ডপের কথা তুলে ধরেন।
প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলার ভূমি কর্মকর্তা মোছাঃ সুলতানা রাজিয়া, সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন আছিব, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মাসুদ রানা, আনসার, সদর উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রিয়াজুল ইসলাম, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, সমাজসেবা কর্মকর্তা, পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও সদস্য সচিব, বিভিন্ন রাজনৈতিকদলের নেতৃবৃন্দ, বীরমুক্তিযোদ্ধা, চেয়ারম্যানবৃন্দ, গাইবান্ধা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইদ্রিসুজ্জামান মুনা প্রমুখ।
সভায় শারদীয় দূর্গা পূজা উপলক্ষে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ উপজেলার দূর্গা মন্দিরের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকদরা পূজা উদযাপনে সরকারি নিদের্শনা তুলে ধরেন। যাতে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও অত্যান্ত শান্তিপূর্ন ভাবে শারদীয় দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ পূজা পরিষদ উপজেলা শাখার সভাপতি বলেন, এ বছর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার ৯৫ টি মন্ডপে শারদীয় দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। ইতি মধ্যেই মন্দির কমিটির লোকজন দূর্গা পূজা উপলক্ষে মন্দিরগুলো সাজিয়ে তুলছেন এবং ব্যস্ত সময় পার করছেন। আশা করি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়ের দিকনির্দেশনায় আমাদের অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও বর্ণাঢ্য আয়োজনে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি মন্দিরে আনসার সদস্যরা ২৪ ঘন্টা থাকবে।
এছাড়াও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পুলিশ সার্বক্ষণিক ভাবে দেখাশুনা করবে, থাকবে সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা নজরদারিও।পূজা চলাকালীন সময়ে কোন ধরণের গুজবে কান দেবেন না। যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সবাই সজাগ থাকবে। এর পরেও যদি কোন ধরনের ঘটনা ঘটার আশঙ্কা মনে করেন তাহলে সঙ্গে সঙ্গে মন্দির প্রাঙ্গণে দেওয়া প্রশাসনের মোবাইল নাম্বারে ফোন করে দ্রুত জানার আহবান জানান ও জরুরী প্রয়োজনে ট্রিপল নাইন এ ফোন দিয়েও জরুরি সেবা নেওয়া কথা বলেন।
প্রস্তুতি সবার শেষ মুহূর্তের সমাপনী বক্তব্যে উপজেলার নির্বাহী অফিসার ও দুর্গাপূজা প্রস্তুতি সভার সভাপতি মাহমুদ আল হাসান বলেন, আজ শুভ মহালয়া। সবাইকে আবারো শুভ মহালয়ার শুভেচ্ছা। মহালয়ার মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গার আগমনের বার্তা আসলো। আপনারা সবাই যার যার স্থান থেকে চেষ্টা করবেন সুন্দর সাবলীলভাবে দুর্গা পূজা উদযাপন করতে। পূজা উদযাপনের জন্য উপজেলায় একটি আলাদা উপকমিটি থাকবে ও প্রত্যেক ইউনিয়নে প্রধান শিক্ষকের সমন্বয়ে একটি কমিটি থাকবে। তাছাড়াও স্বেচ্ছাসেবক ভলান্টিয়ার নিযুক্ত থাকবে। সবার জন্য শুভকামনা। গাইবান্ধা সদরে গতবারের ন্যায় এবারও শান্তিপূর্ণভাবে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন হবে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে প্রত্যেকটি মন্ডপে সিসি ক্যামেরার আওতাভুক্ত থাকবে।
আপনার মতামত লিখুন :