বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার আড়িঘাটে বাঙ্গালী নদীতে প্রায় শত বছর ধরে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা পূণ্যস্নান উৎসব পালন করে আসছে। শুক্লা পঞ্চমী (সরস্বতী পুজার) একদিন পর মকরি সপ্তমী তিথী অনুযায়ী গতকাল শত বছরের ঐতিহ্য এ স্নান উৎসব উদযাপন করা হয়।
পূণ্যস্নান আয়োজক কমিটির সভাপতি ও সাংবাদিক বিকাশ চন্দ্র স্বর্নকার বলেন, মকরী সপ্তমী তিথিতে আমরা এ উৎসব পালন করে থাকি। এতে বিভিন্ন এলাকা থেকে লাখো সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আগমনের ফলে তা মিলন মেলায় পরিণত হয়। আয়োজক কমিটির সদস্য শ্রীসুবীর পাল বলেন, আমাদের ধর্মাবলম্বী নারী ও পুরুষরা নদীর তীরে এসে স্নান পূর্বে পুরোহিত দ্বারা মন্ত্র পাঠ করে বাঙালি নদীর জলে পূণ্যস্নান উৎসব পালন করে।
এ উপলক্ষে আমরা স্নানযাত্রীদের কাপড় পরিবর্তনের জন্য বেষ্টনীর ব্যবস্থা ছাড়াও ভজন, কীর্তনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মধুপুরে শ্রীমৃগেন রায় বলেন, বহুবছর আগে প্রচুর জটাধারী সন্যাসীরা মেলায় আগেই এসে অবস্থান করতেন। তবে এখন শুধু দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সাধু ভক্তরা এসে পূণ্যস্নান উৎসব পালন করে।
উৎসবে আসা পূণ্যার্থী বগুড়ার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বাবু নিবারণ চন্দ্র বলেন, ভাগবতের শ্লোকে আছে মা গঙ্গা সদাচার ও সাধুগুরু বৈষ্ণবের পদধুলী পাওয়ার আসায় পথ চেয়ে থাকেন। তবে সাধু গুরু চরণ ধূলী পেলে মা গঙ্গাসহ উভয়ে ধন্য হয়ে মিলবে পূণ্য অর্জন। এদিকে পূণ্যস্নান উপলক্ষে নদীর তীরে মেলা বসে। এই স্নান উৎসবের দিন থেকে গড়চৈতন্যপুর কর্মকার পাড়ায় মহানাম যজ্ঞানুষ্ঠান শুরু হয়েছে।
সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা (ওসি) মিলাদুন নবী বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের পূণ্যস্নান ও মেলা উপলক্ষে নিরাপত্তার সকল ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :