Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারি, ২০২৫, ২৪ পৌষ ১৪৩১

ইউপি চেয়ারম্যানকে ফিরিয়ে আনতে ইউএনও বরাবর আবেদন


দৈনিক পরিবার | ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি জানুয়ারি ৫, ২০২৫, ০৪:২৩ পিএম ইউপি চেয়ারম্যানকে ফিরিয়ে আনতে ইউএনও বরাবর আবেদন

ঢাকার ধামরাইয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে কোন পদপদবী না থাকলেও চেয়ারম্যান পদ হারিয়েছেন উপজেলার ১৩ নং কুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো: লুৎফর রহমান। 
তিনি ৫ আগস্টের পরেও ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত থেকে নিয়মিত জনগনকে সেবা কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার( ভারপ্রাপ্ত) প্রশান্ত বৈধ্য  তার এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন চোয়ারন্যানের বিরুদ্ধে মামলা চলমান রয়েছে।
কিন্তু ০৫ আগস্টের পর থেকে পরিষদে উপস্থিত রয়েছেন অনিয়মিতভাবে সপ্তাহে ৩-৪ দিন পরিষদে আসেন। তবে জনসাধারণের কোন অভিযোগ নেই। জনসাধারণ তাদের কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছেন। এছাড়াও তিনি আওয়ামীলীগের সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন এবং বর্তমানে বিএনপি জামায়াতের সাথে সম্মিলিতভাবে মিলে মিশে কাজ করছেন। 
৭, ৮ ও ৯ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য রৌশনারা আক্তার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে দেয়া আবেদনে বলেন, আমাদের ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ লুৎফর রহমান  ৫ আগস্টের পর থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত নিয়মিত অফিস কার্যক্রম পরিচালনা করিয়া আসতেছিলেন। তিনি বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রতীকে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কালীপদ সরকারকে পরাজিত করেন। কুল্লা ইউনিয়নবাসীসহ আমরা সকলে মিলে বিপুল ভোটে তাহাকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করি। তিনি আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের কোন দলীয় পদে অর্ন্তভুক্ত ছিলেন না। তিনি এলাকায় বেশ জনপ্রিয় ও দানশীল চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচিত। তিনি অত্যন্ত সুনাম ও সততার সাথে কুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা করিয়া আসতেছিলেন। এমতাবস্থায় তাহাকে কুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বে পুর্নবহাল করলে এলাকাবাসী তথা আমরা কুল্লা ইউনিয়নবাসী খুবই উপকৃত হতাম। তিনি কুল্লা ইউনিয়ন পরিষদকে স্বচল রাখার লক্ষ্যে সাবেক চেয়ারম্যানের সাময়িক অনুপস্থিতির আদেশটি প্রত্যাহার পূর্বক স্বীয় পদে পূর্নবহাল করে কুল্লা ইউনিয়নবাসীর সেবা প্রদানের  সুযোগ দেয়ার জন্য উল্লেখ করেন। এ আবেদনের সাথে একাত্ত্বতা প্রকাশ করেন আরো ৯ জন ইউপি সদস্য। এছাড়াও আবদুল হক নামের এক ব্যক্তি চেয়ারম্যানের পুণর্বহালের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট আবেদন করেছেন।
জয়নাল আবেদীন, জালাল মিয়া নামে একাধিক ব্যক্তি বলেন, চেয়ারম্যান লুৎফর রহমানের সময় আমরা নানা ধরনের সুবিধা পেয়েছি। তিনি আমাদের বয়স্ক ভাতার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। সেই সুবিধা এখনো পাচ্ছি। তাই ওই চেয়ারম্যানকে আগের মোত স্বপদে আনা খুবই জরুরী।
ভূক্তভোগী সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব লুৎফর রহমান বলেন, আমি কখনো স্বৈরাচারী হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম না। সরকার পতনের পর আমার পদটিও শূন্য করে একজন প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের সেবার মান কিছুটা চালু করেছেন সরকার। কিন্তু আমি কোন অপরাধ করিনি। জনগণকে সঠিক ও কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে সক্ষম হয়েছি। কারণ ফ্যাসিবাদ সরকার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত কখনোই ছিলাম না। একটি স্বার্থান্বেশী মহল আমার প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার নাম জড়িয়ে আদালতে  মামলা দিয়েছে। পরে আমি গ্রেফতারও হই। কিন্তু আমি মাননীয় আদালত থেকে জামিনে এসেছি। বর্তমানে পরিষদে বসতে না পারলে ও দলমত নির্বিশেষে এলাকার সাধারণ জনগণের খোঁজ খবর নিচ্ছি।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার কুল্লা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব লুৎফর রহমানকে সরিয়ে ওই পদে একজন প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। যিনি নিজের অফিসের কার্যক্রম গুছিয়ে তিনি আবার পরিষদের কাজে দৌড়ান। সপ্তাহে একদিন অফিস করেন। এতে করে কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছে না এলাকার সাধারণ মানুষ। 
কুল্লা ইউনিয়নের  অনেকেই বলছেন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কালীপদ সরকারকে বিপুল ভোটে পরাজিত করেন সরকারের বিপক্ষে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে। তিনি বিএনপি জামাতসহ সকল রাজনৈতিক দল এবং সাধারণ জনগণের পাশে থেকে সব সময় কাজ করে গেছেন। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত না থেকেও খোয়ালেন নিজের পদ।
এ বিষয়ে ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য উজ্জ্বল মিয়া বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন  একজন স্থানীয় ব্যক্তি। তাকে পূনরায় স্বপদে বহাল রাখা হলে জনগণ আশানুরূপ সেবা পাবেন। কারণ একজন চেয়ারম্যান সব গ্রামের সকলের কাছেই পরিচিত।

Side banner