গাইবান্ধার সদরে সুপারি চুরির অভিযোগে প্রতিবন্ধী কিশোর হোসেন মিয়াকে রশি দিয়ে বেঁধে রেখে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত ইউপি সদস্য (মেম্বার) আহসান হাবীবকে শোকজ করা হয়েছে। নোটিশে আগামী সাত দিনের মধ্যে তাকে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে। অভিযুক্ত আহসান হাবীব খোলাহাটি ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার)।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মাহমুদ আল হাসানের নির্দেশে আহসান হাবীবকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন খোলাহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাসুম হক্কানি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ইউএনও মো. মাহমুদ আল হাসান জানান, চুরির অভিযোগে প্রতিবন্ধী কিশোরকে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে রশি দিয়ে বেঁধে মারধরের ঘটনায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ তার নজরে আসে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ইউপি সদস্য আহসান হাবীবকে কারণ দর্শানোর জন্য ইউপি চেয়ারম্যান স্বাক্ষরিত একটি শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে ওই নোটিশের লিখিত জবাব চাওয়া হয়েছে। জবাব পাওয়ার পর পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আহসান হাবীব মুঠফোনে বলেন, হোসেনকে শাসন করার জন্য পরিষদ ভবনে হাত বেঁধে রাখা হয়। তবে তাকে মারধর করা হয়নি।
এর আগে, রবিবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে সুপারি চুরির অভিযোগে কিশোর হোসেনকে ধাওয়া করে আটক করে স্থানীয়রা। পরে খোলাহাটি ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের গ্রিলের লোহার রডের সঙ্গে তার দুই হাত রশি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। এ সময় হোসেনের মাথা ও মুখ চেপে ধরাসহ তাকে মারধর করে কয়েকজন যুবক। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে আটক রাখার পর পরিবারের লোকজন ডেকে রাতেই হোসেনকে 'ভালো হওয়ার শর্তে' তুলে দেন ইউপি সদস্য আহসান হাবীব।
ভুক্তভোগী হোসেন মিয়া (১৫) খোলাহাটি ইউনিয়নের রথবাজার মাঝিপাড়া গ্রামের মো. আনছার আলীর ছেলে।
আপনার মতামত লিখুন :