চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সাবেক এমপি হাজি আলী আজগার টগর ও দামুড়হুদা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবুসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে। যুবদল নেতা শাহবুদ্দিন বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) চুয়াডাঙ্গা আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালতের বিচারক অভিযোগ আমলে নিয়ে মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন। জেলা যুবদলের সদস্য শাহবুদ্দিন দর্শনা কেরুজ হাসপাতালপাড়ার মৃত ইয়াছিন আলীর ছেলে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন কেরুজ হাসপাতালপাড়ার খোকনের হাফিজুল, কেরুজ টেডি কোয়াটারপাড়ার সিরাজুল ইসলামের ছেলে কুটি বাবু, একই পাড়ার আব্দুর জব্বারের ছেলে ইসমাইল, লিয়াকত আলীর ছেলে ইদ্রিস আলী, দর্শনা পৌর শহরের পরাণপুরের আসমত আলীর ছেলে চান্দু, ঈশ্বরচন্দ্রপুরের আনসার আলী মণ্ডলের ছেলে সাইফুল ইসলাম হুকুম, পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এসএএম জাকারিয়া আলম, দর্শনা আনন্দবাজার পাড়ার টুকু মিয়ার ছেলে কেরুজ, যশোর ওয়ার হাউজের এ্যাজেন্ট দাউদ আলী, নারায়নের ছেলে তপন, মিলপাড়ার শুকুর আলীর ছেলে সাহেব আলী, দামুড়হুদার হাউলী ইউনিয়নের রঘুনাথপুরের আওলিয়ার ছেলে মুন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের ছোট শলুয়া গ্রামের হাজি জামাল উদ্দিনের ছেলে মামুন, দর্শনা আনোয়ারপুরের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে সুমন, মোবারকপাড়ার আলী হোসেনের ছেলে আব্দুল মান্নান খান, রেল কলোনীর কলিম মিস্ত্রির ছেলে দর্শনা পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আসলাম আলী তোতা, শ্যামপুরের তনু মল্লিকের ছেলে দামুড়হুদা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল হান্নান ছোট, দর্শনা কলেজপাড়ার আজাদ মিয়ার ছেলে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নাহিদ পারভেজ, দামুড়হুদার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের দ্বীন মোহাম্মদের ছেলে সাইফুল মেম্বার, দর্শনা দক্ষিণচাঁদপুরের জাহিদুল ইসলামের ছেলে সোহেল সরদার ও দর্শনা পুরাতন বাজার পাড়ার আব্দুল হাই নাতু মিয়ার ছেলে দর্শনা পৌর যুবলীগের সভাপতি আশরাফ আলম বাবু।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ২০০৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ২৫-৩০ সন্ত্রাসী পিস্তল, বোমাসহ ধারালো অস্ত্র নিয়ে আতর্কিত হামলা চালায় কেরুজ হাসপাতালপাড়ার তার শশুর বাড়িতে। হামলাকারীরা পরিবারের সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে। যার ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ ২ লাখ টাকা। এ সময় তারা নগদ টাকা, সোনার চেইন, কানের দুল, অংটি লুট করে। বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে শাহবুদ্দিন, তার স্ত্রী কোহিনুর, শাশুড়ি নুরজাহানকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে। হামলাকারীরা শক্তিশালী বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতংকের সৃষ্টি করায় প্রতিবেশীরা প্রতিরোধ করতে পারেনি। মামলাটি আমলে নিয়ে বিজ্ঞ আদালতের বিচারক তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :