বিশ্বনাথে সম্মিলিত ভাবে ৭ জন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও কার্যকরী স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান ইউনিয়ন পরিষদ এর জনপ্রতিনিধিদের অপসারণ না করে মেয়াদ পর্যন্ত বহাল রাখার আবেদনসহ স্মারক লিপি প্রদান করেছেন।
সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুনন্দা রায় এর নিকট উপজেলার ৭ টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের স্বাক্ষরিত স্মারকলিপি প্রদান করেন ১ নং লামাকাজী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়া, ২ নং খাজাঞ্চি ইউপি চেয়ারম্যান আরশ আলী, ৩ নং অলংকারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান লিটন, ৫ নং দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজ আরব খান, ৬ নং বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী দয়াল উদ্দিন তালুকদার, ৭ নং দেওকলস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফখরুল আহমদ মতসিন ও ৮ নং দশঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমাদ উদ্দিন খান।
স্মারকলিপিতে প্রধান উপদেষ্টা জ্ঞাতার্থে তারা উল্লেখ করেন, রাষ্ট্রের নাগরিক সেবার প্রান্তিক ও সর্ববৃহৎ প্রতিষ্ঠান স্থানীয় সরকার বিভাগের "ইউনিয়ন পরিষদ'। এখানে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন, উত্তরাধিকারী সনদ, ট্রেড লাইসেন্স, প্রত্যয়নপত্র, চারিত্রিক সনদ, নাগরিক সনদ, প্রত্যয়ন পত্র, অবিবাহিত সনদ ও অভিভাবক সম্মতি পত্র সহ বহু ধরণের নাগরিক সেবা চেয়ারম্যান, মেম্বারগণ দ্বারা দ্রুততম সময়ে প্রদান করা হয়ে থাকে। গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়নে সরাসরি কাজ করেন জনপ্রতিনিধিরা। এছড়া গ্রাম আদালত পরিচালনা তথা ঝগড়া বিবাধ নিরসনের মাধ্যমে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রেখে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ব্য়স্ক, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধি ভাতা, মা ও শিশুসুরক্ষা ভাতা, ই.ড.ই উপকার ভোগী নির্বাচন, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি নিশ্চিত করণ ডি.জি.এফ ও জি, আর এর চাল, কৃষি উন্নয়নে প্রকৃত কৃষককে প্রণোদনার উপকার ভোগী নির্বাচন করা এবং শীতবস্ত্র বিতরণ করা সহ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত যে কোন নাগরিক সেবা/সুবিধা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বারগণ দিন-রাত অক্লান্ত কাজ করে থাকেন। যাহা কেবল তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি বলেই এসব সম্ভব হয়।
সম্প্রতি সরকার ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের অপসারন করে প্রশাসক নিয়োগ করবে মর্মে বিভিন্ন খবর প্রচারে নাগরিক উদ্বিগ্নতা বাড়ছে। সাধারন মানুষ মনে করে ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগ দিলে ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক প্রদত্ব সকল প্রকার নাগরিক সেবার মান মুখ থুবড়ে পড়বে। স্থানীয় শান্তি শৃঙ্খলার অবনতি ঘটতে পারে। আমরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বারগণ সর্বদা সরকারের নির্দেশ নির্দেশনা মেনে সরকারের সহযোগী হিসাবে ভাল কাজ করার জন্য বদ্ধ পরিকর। ইউনিয়ন পরিষদ জনপ্রতিনিধিরা স্ব-স্ব অবস্থান থেকে বৈষম্যবিরোধী ও মেধা ভিত্তিক গণতান্ত্রিক মানবিক রাষ্ট্র গঠনে সরকারের সহযোগিতা করে যাচ্ছে। যে সকল জনপ্রতিনিধি কর্মস্থলে উপস্থিত থেকে স্বীয় দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছেন, সেই সকল জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদ আইন অনুযায়ী যে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা কে আমরা সাধুবাদ জানাই।
উক্ত বিষয়গুলোর প্রতি প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রাচীন এই জনপ্রিয় স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মেয়াদ পর্যন্ত অপসারণ না করে বহাল রাখার আবেদন করেন তারা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন ইউনিয়নের নির্বাচিত সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্যাগণ।
আপনার মতামত লিখুন :