খুলনা মহানগরীর দৌলতপুরস্থ ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ শামসুদ্দিন আহম্মেদ প্রিন্সকে জীবননাশের হুমকি দিয়েছে কতিপয় স্থানীয় বাসিন্দা। এ ঘটনায় তিনি বুধবার (৩ জুলাই) দুইজনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞত দেখিয়ে দৌলতপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন। যার নং ১৪৫।
জিডিতে, দেয়ানা দক্ষিনপাড়াস্থ মোড়ল পাড়ার এলাকার বাসিন্দা মোঃ কনকের পুত্র মোঃ ইসরাফিল হোসেন জনি (৩৫) ও মোঃ মোয়াজ্জেম হোসনের পুত্র ইয়াসির আরাফাত সোহাগ (৩৪) সহ অজ্ঞতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। জিডিতে সুত্রে জানাযায়, দৌলতপুর বাজারস্থ সেভ এন্ড সেফ (বর্তমান মনা) এর সামনের ও আশপাশের দোকানদারদের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে কেসিসির মেয়র ও ২৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল ইসলাম টিটুর সাথে আলোচনাকে কেন্দ্র করে গত ৯ জুন রাতে দৌলতপুর থানা যুবলীগ নেতা ইসরাফিল হোসেন জনি সহ তার সঙ্গীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে কাউন্সিলর শামসুদ্দিন আহম্মেদ প্রিন্সের সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থান ক্ষুন্ন করার জন্য অকথ্য অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করে। মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বানোয়াট অপবাদ দেয় এবং জীবন নাশের হুমকি প্রদান করে । একই সাথে ওই যুবলীগ নেতা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী মোবাইল ফোনে ভিডিওটি ধারণ করে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মানুষের কাছে ছড়িয়ে দেয়। কাউন্সিল শেখ শামসুদ্দিন আহম্মেদ প্রিন্স ঐ ঘটনাটি জানিয়ে সুস্থ বিচারের দাবীতে প্যানেল মেয়র ও দৌলতপুর থানা এলাকার সকল ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের স্বাক্ষরিত একটি দরখাস্ত কেসিসির মেয়র ও খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক এর নিকট প্রেরণ করেছেন। জিডিতে আরো উল্লেখ্য, প্রায় ৩ বছর আগে উপরোক্ত বিবাদীগন দৌলতপুর থানা অফিসার ইনচার্জ এর কক্ষে একটি সালীশ চলাকালীন সময়ে একই খারাপ রকম আচারণ করে এবং ঝামেলা সৃষ্টি করে সালীশটি পন্ড করে দেয়।
এ ব্যাপারে কাউন্সির শেখ শামসুদ্দিন আহম্মেদ প্রিন্স বলেন, কয়েকদিন পূর্বে একটি অপ্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে মোঃ ইসরাফিল হোসেন জনি সহ তার সঙ্গীয়রা আমাকে ও আমার পরিবারকে নিয়ে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ, মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অপবাদ দেয় এবং জীবননাশের হুমকি প্রদান করে । এ ব্যাপারে আমি দৌলতপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছি। একই সাথে সুষ্ঠ বিচারের দাবিতে কেসিসির মেয়র ও নগর আলীগের সভাপতি আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক এর নিকট লিখিত দরখাস্ত করেছি।
থানার অফিসার ইনচার্জ প্রবীর কুমার বিশ্বাস জানান, ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিল শেখ শামসুদ্দিন আহম্মেদ প্রিন্স এর সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনায় ২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরো অজ্ঞত'র বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন। এ ব্যাপারে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে বিবাদীদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাদের পাওয়া সম্ভব হয়নি।
আপনার মতামত লিখুন :