ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর পৌরসভায় সহকারী প্রকৌশলী, সার্ভেয়ারসহ গুরুত্বপূর্ণ ১১১টি পদ শূন্য রয়েছে দীর্ঘদিন যাবত। বাঞ্ছারামপুর পৌরসভায় মোট পদের সংখ্যা ১১৪টি। বর্তমানে মাত্র ১১জন কর্মকর্তা কর্মচারী দিয়ে জোড়াতালি মাধ্যমে নিজস্ব জমি থাকা সত্বেও ভাড়াবাড়ীতে চলছে 'খ' শ্রেণীর বাঞ্ছারামপুর পৌরসভা।
ফলে পৌর এলাকায় সব উন্নয়ন কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। কয়েকশ’ ফাইল জমেছে বাড়ি নির্মাতাদের। অনুমোদন হচ্ছে না। করা যাচ্ছে না রাস্তা, ড্রেন, নির্মাণ কাজ। এমনকি টেন্ডারও আহ্বান করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে একদিকে যেমন ভোগান্তি পোহাচ্ছেন নাগরিকরা, তেমনি যে ১১ জন কর্মকর্তা কর্মচারী রয়েছে তাদের কাজ করতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে।
পৌর কর্তৃপক্ষ জানায়, পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী বদলী হয়ে যান প্রায় এক বছর আগে। সার্ভেয়ার ও উপসহকারী প্রকৌশলী বদলি হয়েছেন ৬ মাস আগে। সহকারী প্রকৌশলী ও শহর পরিকল্পনাবিদ নেই দীর্ঘদিন ধরে। প্রকৌশলী ও শহর পরিকল্পনাবিদ না থাকায় পৌর এলাকার বাড়ি নির্মাতারা প্ল্যান অনুমোদন নিতে পারছেন না। কয়েকশ’ ফাইল জমে আছে। রাস্তা, ড্রেনসহ উন্নয়ন কাজগুলোর টেন্ডার করা যাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে পৌরসভার প্রশাসক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) নজরুল ইসলাম রবিবার (২ ফেব্রুয়ারী) জানান, প্রায় ১ বছর আগে সহকারী প্রকৌশলী বদলী হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কাউকে পদায়ন করা হয়নি। বর্তমানে একজন উপ সহকারী প্রকৌশলী ছাড়া পৌরসভায় কোনো প্রকৌশলী নেই। ফলে বিএমডিএফ, ইউজিএফ-৩, এডিবিসহ পৌরসভার নিজস্ব অর্থায়নে যে কাজ করার কথা সব মুখ থুবড়ে পড়ে আছে।
তিনি বলেন, এ সব কাজ বন্ধ থাকায় জনমনে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। সরকারেরও ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। কয়েকশ’ বিল্ডিং নির্মাণের ফাইল পড়ে আছে অনুমোদনের জন্য। প্রকৌশলী না থাকায় তাও করা যাচ্ছে না। এ অবস্থায় অনেক বিল্ডিং নির্মাতা অনুমোদন না নিয়েই কাজ শুরু করেছেন। এতে পৌরসভা রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। পাশাপাশি যথাযথ তদারকি না থাকায় জনজীবনের ঝুঁকিও বাড়ছে।
পৌরসভার কাগজপত্র পর্যালোচনা করে জানা গেছে, পৌরসভাটি ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠা হয়। ওই সময় মাত্র ৩২ হাজার ১০৫ জন পৌর নাগরিক ছিলেন। দিনে দিনে বেড়েছে এর আয়তন, বেড়েছে এর জনসংখ্যাও। 'খ' শ্রেণীর এ পৌরসভা বর্তমানে ১৬ দশমিক ৮ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃতি লাভ করেছে। বর্তমানে ৯ টি ওয়ার্ডের প্রায় ৬০ হাজার মানুষ বসবাস করছে।
আপনার মতামত লিখুন :