যথাযোগ্য মর্যাদায় মালয়েশিয়ায় ৫৩তম বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) কুয়ালালামপুরে হোটেল রয়েল চুলানে বাংলাদেশ হাইকমিশন দিনটি উপলক্ষ্যে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে মালয়েশিয়ার নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল দাতুক জুলহেলমি বিন ইথনাইন তার সহধর্মিণী দাতিন জামজেলিনা বিনতি আহমেদসহ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। এরপর সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষ্যে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। মালয়েশিয়াতে হাইকমিশনের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা কমোডর মো. হাসান তারিক মন্ডল শুভেচ্ছা বক্তব্যে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ, বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলন, দেশের উন্নয়ন, দুর্যোগ মোকাবিলা এবং সাম্প্রতিক সময়ের ছাত্র-জনতার বিপ্লবে সশস্ত্র বাহিনীর গৌরবোজ্জ্বল অবদানের বিষয়টি অতিথিদের সামনে তুলে ধরেন।
হাইকমিশনার বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সার্বিক ভূমিকা ও অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা এবং আত্মত্যাগের বিষয়টি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, পেশাগত দক্ষতার কারণে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী আজ বিশ্বের বুকে সমাদৃত ও জাতিসংঘ শান্তি মিশনে সর্বোচ্চ সংখ্যক শান্তিরক্ষী নিয়োগের গৌরব অর্জন করেছে, যা বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের পতাকাকে সমুজ্জ্বল করছে।
শামীম আহসান বলেন, নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্র্বতী সরকার গুরুত্বপূর্ণ খাতে পরিবর্তনমূলক সংস্কার আনার মাধ্যমে সুশাসন নিশ্চিত করে বাংলাদেশ পুনর্গঠনের জন্য দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
অনুষ্ঠানে ৩০টি দেশের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা, মালয়েশিয়া সশস্ত্র বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা, স্থানীয় বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতারা এবং হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি এবং হাইকমিশনার সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষ্যে কেক কাটেন। অনুষ্ঠান শেষে অতিথিরা নৈশভোজে অংশগ্রহণ করেন।
আপনার মতামত লিখুন :