ইতালির সর্বোচ্চ প্রশাসনিক আদালতের রায়ে দেশটিতে জামাতে নামাজ আদায় নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ সিদ্ধান্তে চরম হতাশা ও ক্ষোভে ফুঁসছে ইতালিতে বসবাসরত প্রায় ২২ লাখ মুসলমান। বিশেষ করে দেশটিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ ও অসন্তোষ তীব্র আকার ধারণ করেছে।
সাংবিধানিকভাবে ইতালিতে ধর্ম পালনের স্বাধীনতা থাকলেও, সম্প্রতি আদালতের এক ঐতিহাসিক রায়ে ইসলামিক কালচারাল সেন্টার ও অস্থায়ী মসজিদে দলবদ্ধভাবে নামাজ আদায়কে অবৈধ ঘোষণা করা হয়। ভেনিস থেকে প্রায় ১৩০ কিলোমিটার দূরে মনফালকনে শহরের দুটি মসজিদ থেকে শুরু করে, ইতালি জুড়ে থাকা শত শত নামাজঘর এই আদেশের আওতায় পড়েছে।
বর্তমানে ইতালি জুড়ে মাত্র গুটিকয়েক পূর্ণাঙ্গ মসজিদ রয়েছে। ফলে মুসলিম সম্প্রদায় ইসলামিক কালচারাল সেন্টারের ব্যানারে অস্থায়ীভাবে স্থাপিত মসজিদেই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে আসছিল। এই রায়ের ফলে এসব সেন্টারের ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত।
বিষয়টি নিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিসহ মুসলিম সম্প্রদায়ের নেতারা দ্রুত আইনি লড়াইয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তারা বলছেন, ধর্মীয় স্বাধীনতার এমন চরম লঙ্ঘন মেনে নেওয়া যায় না।
ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও স্থানীয় মুসলিম সংগঠনগুলোতে প্রতিবাদ ও সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে। মুসলমানদের অভিযোগ, এই সিদ্ধান্ত সরাসরি তাদের ধর্মীয় অধিকারে হস্তক্ষেপ এবং তা বিভ্রান্তিকর ও বৈষম্যমূলক।
এদিকে, ইতালির প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। তবে মুসলিম সম্প্রদায়ের দাবি, তারা আইনের পথে থেকেই ধর্মীয় অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই চালিয়ে যাবেন।
সম্প্রতি দেশটির সর্বোচ্চ প্রশাসনিক আদালতের রায়ে দেখা যায়, ভেনিস থেকে ১৩০ কিলোমিটার দূরের শহর মনফালকনের দু’টি মসজিদসহ ইতালিজুড়ে ইসলামিক কালচারাল সেন্টারের নামে যতগুলো মসজিদে জামাতে নামাজ পড়া হয়, সবগুলোকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এতে হতাশ ও বিক্ষুব্ধ দেশটিতে বসবাসরত মুসলিমরা।
আপনার মতামত লিখুন :