Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১

লিবিয়া দিয়ে অবৈধ পথে ইউরোপে ঢোকার চেষ্টায় বাংলাদেশিরা এগিয়ে


দৈনিক পরিবার | প্রবাস ডেস্ক মার্চ ১৫, ২০২৫, ১২:১৪ এএম লিবিয়া দিয়ে অবৈধ পথে ইউরোপে ঢোকার চেষ্টায় বাংলাদেশিরা এগিয়ে

অবৈধ পথে ইউরোপের দেশগুলোতে প্রবেশের চেষ্টা ২০২৫ সালের প্রথম দুই মাসে ২৫ শতাংশ কমেছে। বিশেষ করে পশ্চিম বালকান অঞ্চলে অবৈধ অভিবাসীদের আসার প্রচেষ্টা গত বছরের এই সময়ের তুলনায় ৬৪ শতাংশ কম। তবে লিবিয়া দিয়ে মধ্য ভূমধ্যসাগরীয় রুটি ব্যবহার করে অসংখ্য বাংলাদেশি ইউরোপে ঢোকার চেষ্টা করছে। অন্যান্য রুটে কমলেও এই রুটটিতে এই প্রচেষ্টা বেড়েছ ৪৮ শতাংশ।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) এ তথ্য জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বর্ডার এজেন্সি ফ্রন্টটেক্স। সংস্থাটি জানিয়েছে, এই রুটটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করছে বাংলাদেশিরা। তারা প্রথমে বৈধ পথে লিবিয়া যাচ্ছে। সেখানে গিয়ে সমুদ্র পথ পাড়ি দেওয়ার মতো ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করছে।
সংস্থাটি বলেছে, ২০২৫ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে এই রুটে ৬ হাজার ৮৬৩ জন সমুদ্র পথে ইউরোপে আসার চেষ্টা করেছেন। যা ২০২৩ সালের তুলনায় অনেক কম। ওই বছর একই সময় প্রায় ১২ হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়েছিলেন। বর্তমানে মধ্য ভূমধ্যসাগরীয় রুটটি ইউরোপে প্রবেশের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় সক্রিয় রুট।
সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, লিবিয়ায় মানবপাচারের সঙ্গে জড়িতরা এখন দ্রুতগতির স্পিডবোড ব্যবহার করছে। যেন কর্তৃপক্ষ তাদের ধরতে না পারে। আর এই সমুদ্র পথ পাড়ি দিতে একেকজনের কাছ থেকে ৫ হাজার থেকে ৮ হাজার ইউরো করে নিচ্ছে। এই রুটটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করছে বাংলাদেশিরা। যারা বাংলাদেশ-লিবিয়ার মধ্যে থাকা শ্রম চুক্তির মাধ্যমে বৈধ পথে লিবিয়া আসছে। এরপর অবৈধ পথ বেছে নিচ্ছে।
গত দুই মাসে সবচেয়ে বেশি ৭ হাজার ১৮২ জন মানুষ পূর্ব আফ্রিকা রুট দিয়ে দিয়ে ইউরোপে ঢুকেছে। যা গত বছরের তুলনায় ৪০ শতাংশ কম। এই রুট দিয়ে সবচেয়ে বেশি মালি, সেনেগাল ও গিনির মানুষ ইউরোপে ঢোকার চেষ্টা চালিয়েছে।
সব মিলিয়ে গত দুই মাসে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও মালির মানুষ সবচেয়ে বেশি এই অবৈধ কাজ করেছেন।
সূত্র: ব্রাসেলস সিগন্যাল

Side banner