ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সভাপতি এবং ওবায়দুল কাদেরকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করায় জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ এমপি শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) অভিনন্দন বার্তায় তিনি এই অভিনন্দন জানান।
অভিনন্দন বার্তায় রওশন এরশাদ আরো বলেন, ঐতিহ্যবাহী এ দলটি উপমহাদেশের প্রাচীনতম দলগুলোর অন্যতম। যে দলটির রয়েছে ’৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ’৫৪-এর নির্বাচন, ’৫৬-এর স্বায়ত্তশাসন, ’৬২-এর শিক্ষা কমিশন আন্দোলন, ’৬৪-এর সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী আন্দোলন, ’৬৬-র ৬ দফা, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ’৭০-এর নির্বাচন, ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ভূখন্ডের জন্মের ঐতিহাসিক কৃতিত্ব। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে দলটিকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তার তো গৌরবময় ইতিহাস তো থাকবেই। এই জনপদে এমন সফলতম নেতৃত্ব অন্য কোনো দলের নেই।
তিনি বলেন,’৭৫ সালে জাতির পিতা হত্যার পর আওয়ামীলীগ ধরে রাখে তৃণমূল কর্মীরা। একাত্তরে স্বাধীনতা যুদ্ধে তাদের ভূমিকা স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। নেতৃত্বের প্রতি বঙ্গবন্ধু হত্যার পর প্রবাস থেকে ফিরে এসে শেখ হাসিনা ক্রান্তিকাল অতিক্রম করে দল ও বাংলাদেশকে সফলভাবে টেনে এনেছেন। শুধু দলীয় নেতৃত্ব নয়, রাষ্ট্রীয় নেতৃত্বেও তার অবস্থান আজ বিশ্ব নেতাদের কাতারে। এ সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে ঘটেছে অনন্য উন্নয়ন।
তিনি বলেন, মানুষের মৌলিক চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ একটি আধুনিক রাষ্ট্র কাঠামো বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রজ্ঞা, মেধা, দেশপ্রেম এবং অসংখ্য নেতাকর্মীর অপরিসীম ত্যাগ বাংলাদেশকে নিয়ে এসেছে শক্ত অর্থনৈতিক ভিত্তির ওপর। বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, আমাদের প্রিয় বাংলাদেশের ইতিহাস আওয়ামী লীগের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া দলটির ২২তম জাতীয় সম্মেলন যথার্থ প্রক্রিয়ার মধ্যে সৎ, যোগ্য নেতৃত্ব উপহার দিয়েছে, যাদের নেতৃত্বে আগামীতে উন্নয়ন অভিযাত্রায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। নতুন কমিটির হাত ধরে অতীতের মতোই বাংলাদেশ বিনির্মাণে সৃষ্টিশীল ভূমিকা রাখবে এমনই প্রত্যাশা করেন বিরোধীদলীয় নেতা।
আপনার মতামত লিখুন :