রাজশাহীর পুঠিয়া আওয়ামী লীগ নেতা আলিউজ্জামান মন্টু ওরফে মন্টু মাস্টারকে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে পিটিয়েছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। এতে তার একটি পা ভেঙে গেছে। তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মন্টু মাস্টার পুঠিয়া এলাকায় ‘শিক্ষামন্ত্রী’ হিসেবে পরিচিত ছিল। মন্টু পুঠিয়ার বানেশ্বর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বিড়ালদহ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার বিড়ালদহ মাজারের সামনে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা তাকে বিদ্যুতের খুটির সাথে বেঁধে ফেলে। এরপর লোহার রড দিয়ে তাকে পিটিয়ে জখম করা হয়। এ সময় তার হাত ও পা থেতলে দেওয়া হয়। একপর্যায়ে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেললে হামলাকারীরা তাকে ফেলে রেখে চলে যান। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। তার দুটি পা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরমধ্যে একটি ভেঙে গেছে বলে জানা গেছে।
এলাকাবাসী জানায়, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াদুদ দারা সবমিলিয়ে তিনবার রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। তখন দুই উপজেলার সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়েছিলেন মন্টু। আবদুল ওয়াদুদ দারার হয়ে তিনিই সবকিছু দেখাশোনা করতেন। ব্যাপক চাঁদাবাজিরও অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। টাকা নিয়ে চাকরি না দেওয়ারও অভিযোগ আছে। দুই উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন নিয়োগ বাণিজ্যের জন্য স্থানীয় মানুষের কাছে তিনি ‘পুঠিয়া-দুর্গাপুরের শিক্ষামন্ত্রী’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর মন্টু মাস্টার আত্মগোপনে ছিল। গত বৃহস্পতিবার তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। শনিবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার বিড়ালদহ মাজারের সামনে এলে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা তাকে পিটিয়ে জখম করে।
পুঠিয়া থানার ওসি কবির হোসেন বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। কিন্তু কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :