Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা শনিবার, ০৪ জানুয়ারি, ২০২৫, ২১ পৌষ ১৪৩১

রিজভীর বক্তব্যে জামায়াতের কড়া প্রতিবাদ


দৈনিক পরিবার | নিজস্ব প্রতিবেদক ডিসেম্বর ২৯, ২০২৪, ১১:১৭ পিএম রিজভীর বক্তব্যে জামায়াতের কড়া প্রতিবাদ

‘ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে শেখ হাসিনাকে ক্ষমা করতে চায় জামায়াত’ বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এমন বক্তব্যে কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।
রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) দলটির সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বিবৃতিতে বলেন, রিজভীর বক্তব্য জনগণকে বিভ্রান্ত করতে এবং জামায়াতকে চরিত্রহীনভাবে উপস্থাপন করার উদ্দেশ্যে প্রদান করা হয়েছে।
তিনি দাবি করেন, রিজভীর এসব বক্তব্য মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। জামায়াত কখনও ভারত সম্পর্কিত কোনো রাজনীতিতে অংশ নেয়নি এবং না কখনও ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে হাসিনাকে ক্ষমা করতে চেয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, রিজভী জামায়াতের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছেন- যেমন ‘৫ আগস্টের পর রাজনৈতিক দলের আত্মসাৎ’, ‘রগ কাটা’, ‘ঘোলা পানিতে মাছ শিকার’, এবং ‘৭১ এর বিরোধিতা’ এগুলো অতীতের রাজনৈতিক প্রচারণার অংশ, যা বহু আগেই জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। এ ধরনের কথাবার্তা আর কিছু নয়, শুধুমাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। জনগণ এসব মিথ্যা অভিযোগ আর বিশ্বাস করে না।
রফিকুল ইসলাম খান বলেন, রিজভী এসব কথা বলার মাধ্যমে জামায়াতকে অসম্মান করার চেষ্টা করছেন, অথচ জামায়াত কখনও ‘ঘোলা পানিতে মাছ শিকার’ বা ‘মোনাফেকি’ করেনি। আমরা ইসলামী আদর্শের ভিত্তিতে রাজনীতি করি। জামায়াত মানুষের অধিকার, আইনের শাসন, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার, এবং ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আপসহীনভাবে লড়াই করছে। জামায়াতের রাজনীতি কখনও মোনাফেকি করে না, বরং একমাত্র সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, রিজভী ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে জামায়াতকে অভিযুক্ত করেছেন, কিন্তু তাকে নিজেই নিজের রাজনৈতিক ইতিহাস পর্যালোচনা করা উচিত। জনগণ জানে, কোন দল ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছে এবং তারা কীভাবে সেখানে সফর করেছে।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, জামায়াত ভারতের আধিপত্যবাদ এবং ফ্যাসিবাদ বিরোধী রাজনীতি করে আসছে এবং এই অবস্থান গোটা জাতির কাছে গ্রহণযোগ্য। আর এ কারণেই সম্ভবত রিজভীর গাত্রদাহ সৃষ্টি হয়েছে।
বিবৃতিতে বিভ্রান্তিকর মন্তব্য এবং অপবাদ আরোপের রাজনীতি থেকে রিজভীকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়।

Side banner