বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী লক্ষ্মীপুরের ১৮নং কুশাখালী ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকালে কুশাখালী ইউনিয়নের শান্তির হাঁট বাজারে সংলগ্ন ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরীর উত্তর জামায়াতে সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা নায়েবে আমীর এডভোকেট নাজির আহমদ, জেলা সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা নাছির উদ্দীন মাহমুদ, লক্ষ্মীপুর জেলা শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুর রহমান, চন্দ্রগঞ্জ থানা আমীর মাওলানা নুর মোহাম্মদ রাসেল, সেক্রেটারি এডভোকেট রেজাউল ইসলাম খাঁন সুমন, থানা সহকারী সেক্রেটারি ডা. কাউছার হামিদ, মোঃ ইকবাল হোসেন, মাওলানা জহিরুল ইসলাম, অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুশাখালী ইউনিয়নের আমীর মাওলানা সফিক উল্যাহ, অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইউনিয়ন সেক্রেটারি মাওলানা ইয়াসিন আরাফাত।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, লাশের উপর নৃত্য, মায়ের কোলের শিশু হত্যা করা পৃথিবীর ইতিহাসে আওয়ামীলীগ প্রথম করেছে, আওয়ামী লীগ এখন তাদের অপকর্মে নথি পুড়ে ফেলার জন্য সচিবালয়ে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে, বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের কর্ণকুহরে আওয়ামী লীগের অপর্কমের দলিল রয়েছে, কিন্তু তাদের অপকর্মে সাক্ষী এদেশের ছাত্র জনতা। তারা সবসময় বলতো আমরা পাকিস্তান পন্থী কিন্তু এদেশ থেকে কেউ পাকিস্তান পালায় নাই, কিন্তু শেখ হাসিনা সবার আগে দেশ থেকে দিল্লি পালিয়ে কাপুরুষের ইতিহাস তৈরি করেছে। এখন শেখ হাসিনা দেশের বিরুদ্ধে নানা ভাবে ষড়যন্ত্র করছেন, আওয়ামী লীগ যতই লাফাবে করবে তত বেশি পেঁচাবে। বেশি লাফালাফি করলে কোন কোন গর্তে পালিয়ে আছেন বাংলাদেশের জনগণ বের করে নিয়ে আসবে।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের শাস্তি তাদের বানানো ট্রাইবুনালে করা হবে। ভারত কে উদ্দেশ্য করে বলেন, ভারতের সংখ্যালঘু মুসলমানরা সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত, সেখানে মুসলমানরা গরুর গোস্ত খেতে পায়, ঠিকমত ধর্মীয় কাজকর্ম পালন করতে দেওয়া হয় না। কিন্তু তারা এদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতন মিথ্যা অপবাদ ছড়ায়, বাংলাদেশে ১শত বছরের ইতিহাসে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ইতিহাস নেই।
আপনার মতামত লিখুন :