জামায়াতের কেন্দ্রীয় আমির ডাঃ শফিকুর রহমান বলেছেন, আগামী নির্বাচন হতে হবে আনুপাতিক হারে। যে দল যত পারসেন্ট ভোট পাবে সেই দল সংসদে তত পারসেন্ট প্রতিনিধিত্ব করবে। এতে করে এক পারসেন্ট ভোট যদি কোন দল পায় সেই দলের যোগ্য লোক থাকলে তারাও সংসদে গিয়ে প্রতিনিধিত্ব করবে। কোন কোন নির্দিষ্ট দলের হাতে দেশ এবং ভোট এই দুটি জিম্মি হওয়ার আর আশঙ্কা থাকবে না। এই জন্য আমরা চাই যে আনুপাতিক হারে সেই নির্বাচনটা হোক।
কয়রার প্রধান সমস্যা বেড়িবাধ সংকট নিরসনে বর্তমান অন্তর্বতীকালীন সরকারকে উদ্যোগ নেওয়ার আহবান জানিয়ে জামায়াতের আমির বলেন, আপনারা কাজ শুরু করুন। জামায়াত দেশ সেবার সুযোগ পেলে আর কোন দাবি করতে হবে না, বরং জনগণের সংকটগুলো খুঁজে নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করবে। এদেশের যুবকেরা বৈষম্যমুক্ত যে সমাজের স্বপ্ন দেখেছিল তেমন একটি সমাজ গড়তে তিনি সকলের ঐক্যবদ্ধ সহযোগিতা কামনা করেন। বাংলাদেশের ২০১৮ সালের নির্বাচন ছিল নিশি রাতপর নির্বাচন। ২০২৪ সালে নির্বাচন ছিল ডামি নির্বাচন। বিচার বিভাগকে ধ্বংস করা হয়েছে, নির্বাচনকে ধ্বংস করেছে, তাছাড়া দুদককে ধ্বংস করার পাশাপাশি গুন্ডা নিয়োগ দিয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে শিক্ষা ব্যবস্থাকে। দেশে লেখাপড়ার কোন পরিবেশ ছিল না। মেয়েদের ইজ্জতের কোন গ্যারান্টি ছিল না। এ সমস্ত কারণে ছাত্রজনতা ফুঁসে উঠেছিলো। বাংলাদেশে আর কখনও চাঁদাবাজ আর দখলবাজদের অস্তিত্ব রাখা হবে না। ছাত্র জনতার আদালনের ফলে শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। আমাদের সন্তানেরা তিন তিনবার ভোট দিতে পারিনি তারা যাতে ভোট দিতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে বর্তমান সরকারকে। প্রবাসীদের ভোট নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুর ২ টায় কয়রা উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে কয়রার কপোতাক্ষ কলেজ মাঠে জামায়াতের কর্মি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ থেকে ২৬ লক্ষ কোটি টাকা চুরি করে বিদেশে নিয়ে গেছে শেখ হাসিনা সহ তার বোন রেহানা। দেলোয়ার হুসাইন সাঈদী ছিল দল মতের ঊর্ধে বাংলাদেশের একজন প্রাণ পুরুষ। তাকে পরিকল্পতিভাবে হত্যা করা হয়েছে। বাংলাদেশের উন্নয়নের রোল মডেল গড়ে তোলার কথা বলা হলেও রোল মডেল খুঁজে পাওয়া যায় না। সৌভাগ্যক্রমে ইংল্যান্ডের মন্ত্রী হয় টিউলিপ ছিদ্দিকী, রুপপুর পারমানবিক কেন্দ্র থেকে ৫৭ হাজার কোটি টাকা চুরি করেছে। ব্যাংকগুলো সব ফাঁকা, ফিন্যান্স সেক্টর ধ্বংস, বীমা কোম্পানিগুলো মাটির সাথে মিশে দিয়েছে । বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার জাতির দুশমন,শক্র, চোর। এরা বাংলাদেশ থেকে সব চুরি করে নিয়ে পালিয়ে গেছে। এদেরকে বিচার করতে হবে এই বাংলার মাটিতে।
কয়রা উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে ও খুলনা জেলা সহকারি সেক্রেটারী এ্যাডঃ মোস্তাফিজুর রহমানের পরিচালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। এতে আরও বক্তব্য কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও খুলনা অঞ্চলের পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ শাহ মুহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও খুলনা জেলা আমীর মাওলানা এমরান হুসাইন,জামায়াত নেতা মাওলানা গোলাম সরোয়ার, অধ্যক্ষ কবিরুল ইসলাম, মুন্সি মিজানুর রহমান, মুন্সি মইনুল ইসলাম, অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস, অধ্যক্ষ গাউসুল আযম হাদী, কৃষ্ণ নন্দী, কয়রার জামায়াত নেতা মাওলানা রফিকুল ইসলাম, মাওলানা সুজাউদ্দিন প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :