বুধবার ২৫শে ডিসেম্বর বিকালে শহরের লিল্লাহ জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে এই শ্রমিক গণজমায়েতের আয়োজন করা হয়।
শ্রমিক গণজমায়েতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আতিকুর রহমান, লক্ষ্মীপুর জেলা প্রধান উপদেষ্টা এস ইউ এম রুহুল আমীন ভূঁইয়া, অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সভাপতি মমিন উল্লাহ পাটোয়ারী, অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা সেক্রেটারি মমিনুল হক ও শহর এডভোকেট মঞ্জুরুল আলম মিরন, বক্তব্য রাখেন জেলা উপদেষ্টা এডভোকেট নাজির আহমদ, এ আর হাফিজ উল্লাহ, মাওলানা নাছির উদ্দীন মাহমুদ, এডভোকেট মহসিন কবির মুরাদ,জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহ সভাপতি আবুল খায়ের ৯দফা দাবি উত্থাপন করেন, এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, জেলা পরিবহন ইউনিয়নের সভাপতি জাকির হোসেন সবুজ, হোটেল শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন সভাপতি সালাহউদ্দিন নাছির
সদর উপজেলা সভাপতি, আমীর হোসেন মেম্বার, চন্দ্রগঞ্জ সভাপতি ডা, কাউসার হামিদ, রামগতি উপজেলা সভাপতি অধ্যাপক একরামুল করিম, রামগঞ্জ উপজেলা সভাপতি, সাইফুল ইসলাম, রায়পুর উপজেলা সভাপতি, মহি উদ্দিন প্রমুখ
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন একটি ইসলামী শ্রমজীবী সংগঠন, শ্রমিকর হলো একটি দেশের সভ্যতার মেরুদন্ড। শ্রমিক ছাড়া আমরা চলতে পারিনা, সুতরাং শ্রমিকদেরকে সম্মান করতে হবে, তাদের প্রাপ্য সম্মানী বুঝিয়ে দিতে হবে। রাসূল (সাঃ) বলেছেন, শ্রমিকরা আল্লাহর বন্ধু। শ্রমিকদের সম্মান করলে বাংলাদেশের চেহারা বদলে যাবে, বাংলাদেশ মালিক শ্রমিক দ্বন্দ্বের কারণ হলো শ্রমিকদের যথা সময়ে ও চুক্তি অনুযায়ী বেতন না দেওয়া, এজন্য শ্রমিকরা কিছুদিন পর পর আন্দোলনের নামতে বাধ্য হন।শ্রমিকদের মাধ্যমে বিদেশে শ্রমবাজার তৈরি হয় এতে দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হয়। তিনি আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে বলেন পাট শিল্প ছিল একটি সোনালী আঁশ কিন্তু সেটিকে বিগত আওয়ামী সরকার স্বাধীনতার কথা বলে ধ্বংস করেছে, স্বাধীনতার নামে দেশকে পরাধীনতার শৃংখলে আবদ্ধ করেছি, ১৯৭১ সালে দেশ যে উদ্দেশ্য নিয়ে স্বাধীন হয়েছে, ভোটের, ভাতের অধিকার ও গণতন্ত্র অধিকার, তা স্বাধীনতার পর ৫৪ বছরেও সঠিকভাবে অর্জন হয়নি, কিন্তু ২৪ শে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে দেশকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করে মানুষের মুক্তির নি:শ্বাস ফেলেছে, ঐক্যবদ্ধ থেকে সে স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে হবে। কিন্তু এরপর থেকে ভারত দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য চেষ্টা করছে, পুনরায় ফ্যাসিবাদকে প্রতিষ্ঠা করতে চায়। তা কখনোই হতে দেওয়া হবে না।
পরে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের আহত ও শহীদদের জন্য দোয়া ও মুনাজাত করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :