কুড়িগ্রামর ফুলবাড়ীতে বিএনপির বিবাদমান দুই গ্রুপের সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের কার্যালয় ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উভয় পক্ষের ৮ নেতা কর্মী আহত হয়েছেন। রবিবার (৬ অক্টোবর) সকাল ১১ টায় এবং দুপুর দুইটার দিকে দুই দফায় উপজেলার প্রানকেন্দ্রে অবস্থিত পৃথক কার্যালয় দুইটি ভাংচুর করা হয়।
জানা গেছে, বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ার ছড়ার এক কর্মীকে মারধোর করাকে কেন্দ্র করে উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আব্দুল মান্নান মুকুল গ্রুপের নেতাকর্মীরা সকাল ১১টার দিকে উপজেলা বিএনপির সভাপতি নজির হোসেন গ্রুপের ফুলবাড়ী কাঁচা বাজার রোডের দলীয় কার্যালয়টি ভাংচুর করেন। এ সময় ওই কার্যালয়ে থাকা উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ন আহ্বায়ক বিষ্ণু, ছাত্রদল কর্মী রানা(১) ও রানা (২) কে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।
অন্যদিকে দুপুর দুইটার দিকে সভাপতি নজির হোসেন গ্রুপের নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে উপজেলা পরিষদ গেট সংলগ্ন সাধারন সম্পাদক আব্দুল মান্নান মুকুল গ্রুপের দলীয় কার্যালয় ও শ্রমিকদলের কার্যালয় ভাংচুর করে। এসময় একটি মোটরসাইকেল ভাংচুর সহ ওই কার্যালয়ে থাকা পাঁচ নেতাকর্মীকে মারপিট করে আহত করা হয়। আহতরা হলেন, যুবদল নেতা রিয়াজুদ্দিন রিপন, আবেদ আলী, জুয়েল রানা,আশরাফুল হক ও হাশেম আলী।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি নজির হোসেন গ্রুপের নেতা উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি সামছুজামান হাসু জানান, বিলুপ্ত ছিটমহলের আওয়ামীলীগের কিছু লোকজন কে মান্নান গ্রুপ দলে অন্তর্ভুক্ত করেছে। আমাদের লোকজন এর প্রৎিাদ করায় বিবাদ সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের তিন জন আহত হয়েছে। তারা দলীয় কার্যালয় এবং বিএনপি নেতা মোস্তাফিজুর রহমান মুকুলের গদিঘর ভাংচুর করেছে।
উপজলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আব্দুল মান্নান মুকুল জানান, নজির হোসেন গ্রুপের লোকজন নাওডাঙ্গা পুলেরপাড় এলাকায় প্রথমে আমাদের নেতাকর্মীকে মারপিট করে ঘরে আটক করে রাখে। পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে । পরে দুপুরে আবারও তারা অতর্কিত ভাবে অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে এসে বিএনপির কার্যালয়, শ্রমিকদলের কার্যালয় ভাংচুর করে পাঁচ নেতাকর্মীকে মারপিট কর গুরুতর আহত করে।
ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, বিএনপির একটি গ্রুপ অপর গ্রুপের লোকজনকে ঘরে আটক করে রাখে। পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। পরে দুই গ্রুপই পৃথক হামলা চালিয়ে উভয়ের দলীয় কার্যালয় ভাংচুর করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। এখন পর্যন্ত কােন পক্ষ অভিযাগ নিয়ে আসেনি।
আপনার মতামত লিখুন :