নতুন ছাত্রসংগঠনের ঘোষণা দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন সমন্বয়ক। তারা জানিয়েছেন, দুই দিনের জনমত জরিপ করে সংগঠনের বিস্তারিত ঘোষণা করা হবে।
তারা বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশের কলেজ, মাদরাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই দিন অনলাইন ও অফলাইনে জনমত জরিপের মাধ্যমে নতুন ছাত্রসংগঠনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। এসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুল কাদের, আবু বাকের মজুমদার, হাসিব আল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আবু বাকের মজুমদার বলেছেন, আমাদের কাঙ্খিত সংগঠনের নাম ও আত্মপ্রকাশের তারিখ সম্পর্কে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। দুই দিন অনলাইন ও অফলাইনে জনমত জরিপের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, এই সংগঠন কোনো লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি করবে না। এর স্লোগান হবে ‘স্টুডেন্ট ফার্স্ট, বাংলাদেশ ফার্স্ট’।
এই ঘোষণার পরে আলোচনার ঝড় ওঠে অনলাইন ও অফলাইনে। কৌতূহলীদের মনে প্রশ্ন, তবে কি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ভেঙে গেলো?
সংবাদ সম্মেলনের পরেই যোগাযোগ করা হয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক কমিটির মুখপাত্র উমামা ফাতেমার সঙ্গে। তিনি বলেন, এতে কোনো দ্বন্দ্ব নেই। সবার সম্মতিতেই করা হয়েছে।
উমামা ফাতেমা বলেন, সেখানে আমাদের আহ্বায়ক কমিটির কোনো সদস্য ছিলেন না, সেটা ঠিক। তবে এখানে এ ধরনের কোনো দ্বন্দ্ব নাই। যেহেতু রাজনৈতিক দল গঠনের আগে ছাত্র সংগঠন গঠনের কথা বলা হয়েছে, তাই সবার সম্মতিতেই এটি হয়েছে।
আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেন, নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের জন্য নতুন ছাত্ররাজনীতি দরকার। এজন্য নতুন ধারার লেজুড়বৃত্তিহীন ছাত্ররাজনীতিকে আমরা স্বাগত জানাই। যারা নতুন ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে জড়িত হবে তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে পদত্যাগ করে যাবে।
তিনি আরও বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন একটি প্রেসার গ্রুপ হিসেবে বিদ্যমান থাকবে। জুলাই এর স্পিরিটকে ধারণ করে এই সংগঠন দেশ গড়ার কাজ অব্যাহত রাখবে।
আপনার মতামত লিখুন :