দ্রুততম সময়ে সংস্কার কাজ শেষ করে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে দাবি জানিয়ে আসছিল বিএনপি। এ অবস্থায় আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচনী রোডম্যাপ বিষয়ে জানানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনী রোডম্যাপ বিষয়ে সরকার বার্তা দিতে পারে বলে জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের এমন তথ্য জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ও তার সঙ্গে যারা ছিলেন তারাও বলেছেন অতিদ্রুত নির্বাচন আয়োজনে কাজ করছেন তারা। তিনিও (ড. ইউনূস) বলেছেন ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনে কাজ চলছে। বিএনপি আশা করে সরকার অতিদ্রুত রোডম্যাপ ঘোঘণা করবে, যার মধ্য দিয়ে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন প্রত্যাশা করছে বিএনপি ও জনগণ। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনী রোডম্যাপ নিয়ে ড. ইউনূসের সরকার কিছু একটা বলবেন।
এ সময় জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন বিষয়ে কোনোভাবে বিএনপি একমত হবে না বলেও জানান তিনি।
বৈঠকে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, দ্রব্যমূল্য এবং চলমান ডেভিল হান্ট অভিযান নিয়েও কথা হয় বলে জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার কাছে দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপি উদ্বেগ জানিয়েছে। দেশে যেসব ঘটনা ঘটেছে, তার দায় সরকার এড়াতে পারে না। সরকারি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানগুলোর সামনে এগুলো ঘটেছে, যা দেশের স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করেছে, ফ্যাসিবাদকে সুযোগ করে দিয়েছে। প্রশাসনে এখনও ফ্যাসিবাদের দোসররা রয়েছেন জানিয়ে, তাদের সরিয়ে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানানো হয়েছে।
এছাড়া গত ১৫/১৬ বছরে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হওয়া মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করার বিষয়েও বৈঠকে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও জানান বিএনপির মহাসচিব।
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ না করতে পারাও সরকারের ব্যর্থতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারকে দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণে কাজ করার কথা বলেছি। সরকারও সে উদ্যোগ নিচ্ছে।
অপারেশন ডেভিল হান্টে যেন নিরপরাধ কোনো ব্যক্তি ভুক্তভোগী না হয় সে বিষয়েও সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :