টঙ্গীর তুরাগ তীরে ইজতেমা ময়দান ছেয়ে গেছে সামিয়ানায়, বিদেশি অতিথিদের জন্যও প্রস্তুত টিনের চালা, গুছিয়ে নেওয়া হয়েছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নের কাজও। এখন পানি ও বিদ্যুৎ লাইনের কাজ, পানির হাউস ও বাথরুম পরিষ্কারসহ অন্যান্য কাজবাজও বিভিন্ন মাদ্রাসা ছাত্রদের সঙ্গে নিয়ে গুছিয়ে ফেলছে আয়োজক কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ব ইজতেমার ঠিক দুই সপ্তাহ আগে শুক্রবার তুরাগ তীরে দেখা গেছে এমন কর্মযজ্ঞ। আগামী ৩১ জানুয়ারি সেখানে হবে মুসলমানদের ‘মহাসম্মিলন’।
বিশ্ব ইজতেমা আয়োজনের প্রস্তুতি দেখতে শুক্রবার ময়দানে যান ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী।
ময়দান ঘুরে দেখে সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে প্রস্তুতি কাজ ৭০ শতাংশ শেষ হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের আগেই বাকি কাজগুলোও শেষ হওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
শরফ উদ্দিন বলেন, ইজতেমার সার্বিক প্রস্তুতি তাবলীগ জামাতের শীর্ষ মুরুব্বি যারা আছেন, তারাই করে থাকেন। তবে তাদের চাহিদা অনুযায়ী আমরা সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করে থাকি।
“এক সময় তারা নিজেরাই সবকিছু করতেন। ইজতেমার পরিধি বাড়ার কারণে বর্তমানে অনেক ক্ষেত্রে তাদের সহযোগিতার প্রয়োজন হয়। এটা সাধারণত ইজতেমার মুরুব্বি যারা আছেন, তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে আমরা তাদের চাহিদা অনুযায়ী সহযোগিতা করে থাকি।”
তিনি বলেন, আয়োজকদের কিছু মৌলিক চাহিদা রয়েছে। টয়লেট, স্বাস্থ্য, খাবার ও ওযুর পানি- এই বিষয়গুলোতে আমরা তাদেরকে সাপোর্ট দেই। যেহেতু কমসময়ে জরুরিভাবে এটা করতে হয়। এই সাপোর্টটা তাদের প্রয়োজন। সরকারের বিভিন্ন দপ্তর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের একটা বড় দায়িত্ব রয়েছে। এ ছাড়া পাবলিক হেলথ ডিপার্টমেন্ট, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনসহ অন্যান্য যারা আছেন, তারা সবাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে সহযোগিতা করে।
সার্বিক প্রস্তুতি বিষয়ে তিনি বলেন, “এখন পর্যন্ত ইজতেমার প্রস্তুতিমূলক কর্মকাণ্ড ঠিকভাবে এগোচ্ছে। আমাদের পর্যবেক্ষণ ও ইজতেমার মুরুব্বিদের সঙ্গে আলোচনা করে এ ধারণা পেয়েছি। আশা করছি ইজতেমা শুরুর আগেই আমরা সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারব।”
অপরদিকে ইজতেমা ময়দানের আশেপাশে দোকানপাটসহ অবৈধ স্থাপনাগুলো সরাতে রোববার থেকে জেলা প্রশাসন অভিযান চালাবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
সেজন্য উচ্ছেদ অভিযানের আগেই দোকানপাটগুলো সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক শরফ উদ্দিন।
ইজতেমা আয়োজক কর্তৃপক্ষ চটের পরিবর্তে টিনের চেয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, “তাদের চাহিদা অনুযায়ী সে বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ইজতেমায় যাতে মুসল্লিরা নির্বিঘ্নে আসতে যেতে পারে সেজন্য সরকার সচেষ্ট রয়েছে।”
ইজতেমার মাঠ পরিদর্শনকালে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম শফিউল আজম, গাজীপুর জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফিন উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :