Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১

১৮ বছর হলেই ভোটার করে নেবে ইসি 


দৈনিক পরিবার | নিজস্ব প্রতিবেদক ডিসেম্বর ৯, ২০২৪, ০৩:১৩ পিএম ১৮ বছর হলেই ভোটার করে নেবে ইসি 

১৮ বছর পূর্ণ করেছেন কিংবা আগামী ১ জানুয়ারিতে যাদের বয়স ১৮ বছর হবে এমন ব্যক্তিদের মধ্যে যারা এখনও ভোটার হননি, তাদেরকে ভোটার হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম এ তথ্য জানান।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, আগামী ২ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। যাদের জন্ম ১ জানুয়ারি ২০০৭ বা তার পূর্বে, তারা যদি ভোটার না হয়ে থাকেন তাদের সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগপূর্বক ভোটার হওয়ার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে রোববারের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিটি ওপরের তথ্য দ্বারা সংশোধন করা হলো।
এর আগে, রোববার (৮ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, যাদের জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) ভুল আছে, তাদেরকে জরুরিভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে গিয়ে ভুল সংশোধন করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।
জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত ভোটার হয়েছিলেন ১১ কোটি ৯৩ লাখ ৩৩ হাজার ১৫৭ জন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাদের নিয়েই করা হয়েছিল চূড়ান্ত ভোটার তালিকা। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ছয় কোটি পাঁচ লাখ ৯২ হাজার ১৬৯ জন আর নারী ভোটার পাঁচ কোটি ৮৭ লাখ ৪০ হাজার ১৪০ জন। হিজড়া ভোটার ছিল ৮৪৮ জন।
অন্যদিকে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দুই মাস পর ২০২৪ সালের ২ মার্চ প্রকাশিত চূড়ান্ত হালনাগাদ শেষে ভোটার দাঁড়ায় ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ১৬০ জন। এক্ষেত্রে ১ জানুয়ারি ২০২৪ সাল পর্যন্ত তথ্য নেওয়া হয়। এই হিসেবে এক বছরে ভোটার বাড়ে ২৫ লাখ ১৭ হাজার তিনজন।
অর্থাৎ বিরাট সংখ্যক ভোটার নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়। সেজন্য নতুন নির্বাচন কমিশন বিশাল সংখ্যক তরুণ ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে চায়। এ লক্ষ্যে তারা ইতোমধ্যে কাজও শুরু করেছে।
তারই অংশ হিসেবে সস্প্রতি নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, প্রতি বছর ১ জানুয়ারি অনুযায়ী হালনাগাদ ভোটার তালিকা হয়ে থাকে। এ পর্যন্ত ১৭ লাখ তথ্য আমাদের হাতে আছে, যেটা ১ জানুয়ারি ২০২৫ সালে আমরা সন্নিবেশ করব এবং তারা নতুন ভোটার হিসেবে তালিকায় যুক্ত হবেন।
তিনি বলেন, পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে, এই তথ্যটা পূর্ণাঙ্গ হয় না। কারণ অনেকেই অফিসে এসে নিবন্ধন সম্পন্ন করেন না। আনুমানিক ৪৫ লাখ হতে পারতো এই সংখ্যাটা। আমাদের হাতে যে ১৭ লাখ তথ্য আছে তার মধ্যে ১৩ লাখ আমরা ২০২২ সালে সংগ্রহ করেছিলাম। আর বাকি চার লাখ আমাদের বিভিন্ন অফিসে এসে এই বছরে নিবন্ধন করেছে। অর্থাৎ আমাদের ধারণা ২৭ থেকে ২৮ লাখ ভোটার, কম-বেশি হতে পারে। যারা আসলেই ভোটার হওয়ার যোগ্য। 
নির্বাচন কমিশনার বলেন, যারা বাদ পড়েছেন তারা ভোটার তালিকায় যুক্ত হোক, এটাই আমরা চাই। এজন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের তথ্য সংগ্রহ করব। এই বাদপড়া ভোটাররা ছাড়াও ২০২৫ সালে যারা ভোটার হবেন অর্থাৎ ২০২৬ সালের ১ জানুযারি যারা ভোটার হওয়ার যোগ্য হবেন তাদের তথ্যও আমরা বাড়িবাড়ি গিয়ে সংগ্রহ করব।
ভোটার তালিকা আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশের নাগরিকরা ১৮ বছর বয়স পূর্ণ করলেই ভোটার হতে পারেন। এজন্য বছরের যেকোনো সময়ই ভোটার হওয়া যায়। তবে নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা হালনাগাদ করে প্রতি বছরের ২ মার্চ। তার আগে ২ জানুয়ারি খসড়া তালিকা প্রকাশ করে দাবি ও আপত্তি নেয়। সেগুলো নিষ্পত্তির পরই প্রকাশ করা হয় চূড়ান্ত তালিকা। আর এই তালিকার ভিত্তিতেই অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচন।

Side banner