পার্বত্য জেলাগুলোর অগ্রগতির ধারাকে অব্যাহত রাখার জন্য দলমত নির্বিশেষে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সোমবার (২ ডিসেম্বর) পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরের ২৭ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরের ২৭ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আমি পার্বত্য তিন জেলার সব অধিবাসীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
তিনি বলেন, পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি, বান্দরবান এবং খাগড়াছড়ি প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ একটি অঞ্চল এবং উন্নয়নের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। যুগ যুগ ধরে এই তিন পার্বত্য জেলায় বসবাসরত বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর বর্ণিল জীবনাচার, ভাষা, কৃষ্টি ও সংস্কৃতি এ অঞ্চলকে বিশেষভাবে বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত করেছে।
মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের উন্নয়ন সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে এলাকার আর্থসামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক জাতীয় কমিটি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে এক ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ অঞ্চলের উন্নয়নে গঠিত হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ।
তিনি বলেন, চুক্তি বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের আর্থসামাজিক, অবকাঠামো ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন চলমান রয়েছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চল নৈসর্গিক সৌন্দর্যের অপার আধার। আমাদের ভাষা আন্দোলন, স্বাধিকার আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ, গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রাম ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ জাতির সব সংকট ও ক্রান্তিকালে পার্বত্য অঞ্চলের অধিবাসীদের ছিল স্বতঃস্ফূর্ত ভূমিকা।
তিনি বলেন, অন্তর্বতীকালীন সরকার একটি বৈষম্যহীন, দুর্নীতিমুক্ত, ন্যায়ভিত্তিক ও আধুনিক বাংলাদেশ গঠনে বহুমুখী সংস্কার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এর সফল বাস্তবায়ন বৈষম্য ও সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত একটি পার্বত্য অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, পার্বত্য জেলাসমূহের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড আরও টেকসই ও বেগবান হবে, উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে এগিয়ে যাবে পার্বত্য অঞ্চল এ প্রত্যাশা করি।
আপনার মতামত লিখুন :