সরকারের আদেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন হয়েছে, সরকার যখন চাইবে তখন সেনাবাহিনী মাঠ ছাড়বে। এই সময়ে অস্ত্র, গোলাবারুদ, মাদকের পাশাপাশি চিহ্নিত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মিলিটারি অপারেশন্সের ডিরেক্টর কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার খান।
একই সঙ্গে শিল্পাঞ্চল, সড়কসহ বিভিন্ন বৈরি পরিস্থিতি মোকাবিলার পাশাপাশি গেলো তিন মাসে দেশে বন্যা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের আহতদের চিকিৎসায় নিরলসভাবে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারের আওতায় মোতায়েন করা সেনাবাহিনীর কার্যক্রম সম্পর্কিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন কর্নেল ইন্তেখাব।
মিলিটারি অপারেশন্সের ডিরেক্টর আরও বলেন, সেনাবাহিনী মোতায়েনের পর থেকে ৬ হাজারের বেশি অবৈধ অস্ত্র, প্রায় ২ লাখ রাউন্ড গোলাবারুদ ও এর সঙ্গে জড়িত আড়াই হাজারের অধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে কর্নেল ইন্তেখাব বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘন কিংবা বিচারবহির্ভূত হত্যা প্রতিরোধের বিষয়ে সেনাবাহিনী অত্যন্ত সচেতন রয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের আদেশ রয়েছে। যেকোনো ধরনের পরিস্থিতিতে যেন আমরা বিচারবহির্ভূত হত্যা সংঘটিত হতে না দেই, আমাদের সেই চেষ্টা রয়েছে। মানবাধিকার লঙ্ঘন যেন না ঘটে এ ক্ষেত্রেও আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা ছিল।
তিনি আরও বলেন, থানায় রেকর্ড হওয়া বিভিন্ন অভিযোগ ও মামলার সংখ্যা পর্যালোচনা করে বলতে চাই, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়নি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতন হয় এবং শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগে বাধ্য হন। গঠন হয় ড. ইউনূসের সরকার। এসময় দেশের অরাজকতা ও অপরাধ প্রবণতা কমাতে ১৭ সেপ্টেম্বর সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয় অন্তর্বতীকালীন সরকার। প্রজ্ঞাপনে ৬০ দিনের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল।
আপনার মতামত লিখুন :