Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১

গণঅভ্যুত্থানে আহতদের তোপের মুখে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা


দৈনিক পরিবার | নিজস্ব প্রতিবেদক নভেম্বর ১৩, ২০২৪, ০৪:৫৬ পিএম গণঅভ্যুত্থানে আহতদের তোপের মুখে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানে আহত হয়ে যারা এখনও চিকিৎসাধীন আছেন, ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুককে সঙ্গে নিয়ে তাদের দেখতে গিয়েছিলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। কিন্তু, আহত সবার সঙ্গে দেখা না করায় হাসপাতালেই তোপের মুখে পড়তে হয়েছে তাকে। একটা পর্যায়ে উপদেষ্টার গাড়ি আটকে তাতে কিল ঘুষিও মারেন বিক্ষুব্ধরা।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ১টার দিকে রাজধানীর শেরে-বাংলা নগরে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (নিটোর) জরুরি বিভাগের সামনে ঘটে এ ঘটনা।
জানা যায়, সকালে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকসহ নিটোরে আহতদের দেখতে যান স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। তারা হাসপাতালের চতুর্থ তলার পুরুষ ওয়ার্ড প্রায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় নিয়ে ঘুরে দেখেন এবং চলে যাওয়ার জন্য রওনা হন। কিন্তু তিন তলার ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আহতরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাদের সঙ্গে দেখা না করায়।
এ ছাড়া রোগীদের পরিদর্শনের সময় উপদেষ্টার প্রোটকলে থাকা এক দায়িত্বরত ব্যক্তির বিরুদ্ধে রোগীকে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগও ওঠে।
এ সময় জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে অর্থ না পাওয়ারও অভিযোগ তোলেন অনেকে। সব মিলিয়ে ব্যাপক তোপের মুখে দ্রুত হাসপাতাল ছাড়ার চেষ্টা করেন উপদেষ্টা ও ব্রিটিশ হাইকমিশনার। তবে, বিক্ষুব্ধরা তাদের গাড়ি ঘিরে ধরেন।
দেখা যায়, কেউ একজন গাড়ির সামনে বসে পড়েন। আরেকজন উঠে পড়েন গাড়ির ছাদে। কিছু সময় তারা গাড়িতে কিল-ঘুষিও মারতে থাকেন। নেমে আসতে বলেন গাড়ির চালককে। পরে নিরূপায় হয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা এবং ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত অন্য একটি গাড়িতে করে সেখান থেকে বেরিয়ে যান। পরে বিক্ষুব্ধরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওই গাড়ি ও প্রটোকলে থাকা পুলিশের একটি গাড়ি আটকে দেন এবং রাস্তায় অবস্থান নেন।
এদিকে, নিটোরের গেট বন্ধ করে বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় অবস্থান নেওয়ায় যানজট দেখা দেয়। এ সময় মো. হাসান নামে আহত এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের এক একটা ওয়ার্ডে ৪৮ জন মানুষ আছে। কিন্তু তারা তাদের পছন্দের বিদেশি পাঁচজন সাংবাদিক নিয়ে এসেছেন এবং আমাদের দেশীয় কোনো সাংবাদিককে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তারা দু-একজনের সঙ্গে কথা বলে চলে গেছেন। কিন্তু আমাদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি। আমরা কথা বলতে গেলেও আমাদের বাধা দেওয়া হয়েছে। আমাদের সামান্য ট্রিটমেন্ট দিয়ে তিন মাস বসিয়ে রাখা হয়েছে। আমার পায়ে নয়টি অপারেশন করা হয়েছে, তারপরও এখন পর্যন্ত সুস্থ হতে পারিনি।

Side banner