শিগগিরই দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনে পূর্ণাঙ্গ প্রশাসক নিয়োগ দেওয়ার ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের মিলনায়তনে মতবিনিময় সভায় এ কথা জানান তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, সিটি করপোরেশনের বিশাল কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পূর্ণ দায়িত্ব পালনের জন্য প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হবে। শুরুতে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এবং পর্যায়ক্রমে অন্য সিটি করপোরেশনে পূর্ণাঙ্গ প্রশাসক নিয়োগের কাজ সম্পন্ন হবে।
তিনি বলেন, এলাকাভিত্তিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় নানা রকম সমস্যা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়ভাবে বর্জ্য সংগ্রহ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে দখলদারিত্বের চেষ্টা চলছে। যার ফলে, ভুক্তভোগী হচ্ছে সাধারণ মানুষ। বর্জ্য সংগ্রহ নিয়ন্ত্রণ অনেকটা চর দখলের মত অবস্থা হয়ে গেছে। এলাকাভিত্তিক বর্জ্য সংগ্রহ কারা করবে তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে কোন্দল চলছে। আমরা সিটি করপোরেশনগুলোর প্রতি নির্দেশনা দিয়েছি, বর্জ্য সংগ্রহ নিয়ে এমন কোন্দল, দখলদারিত্ব দূর করতে আমরা শক্ত অবস্থানে যাব।
হাসান আরিফ বলেন, প্রয়োজন হলে এ সমস্যা সমাধানে আমরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শরণাপন্ন হবো। তবুও কোনোভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে এলাকাভিত্তিক দখলদারিত্বের স্থান দেয়া যাবে না।’
তিনি বলেন, রাস্তার পাশের ফুটপাতগুলো মেরামত জরুরি। আমাদের ঢাকা শহরে ব্লক বা টাইলস দিয়ে ফুটপাত তৈরি করা হয়। কিছু দিন পর সেই টাইলসের নিচের মাটি বা বালু সরে যায়। তখন সেই ফুটপাতের বিভিন্ন জায়গা দিয়ে আর চলাচল করা যায় না। দিনের পর দিন ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় পড়ে থাকে, ফলে পথচারীদের চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি হয়।
এ উপদেষ্টা বলেন, ঢাকায় আরেকভাবে ফুটপাত করা হয়, তা ঢালাইয়ের মাধ্যমে। মাঝে মাঝে ইউলিটি সার্ভিস দেয়ার জন্য এসব ফুটপাত আবার খুঁড়ে ফেলতে হয়। এর ফলে সিটি করপোরেশন বা সরকারের নতুন করে ফুটপাত সংস্কারের বরাদ্দ দিতে হয়। এ কারণে সরকারের টাকা অপচয় হচ্ছে। এজন্য ফুটপাত সংস্কারে সিটি করপোরেশনের প্রকৌশলীরা নতুন কিছু চিন্তা করবেন, যা দিয়ে এসব সমস্যার সমাধান করা যায় এবং উন্নয়নটা যেন দীর্ঘমেয়াদি হয়।
আপনার মতামত লিখুন :