রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের ২০২৪ সালের বর্ষসেরা প্রতিবেদক পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। সংগঠনটির সকল সদস্যের করা প্রতিবেদনের ওপর বিচার বিশ্লেষণ করে ৫ গণমাধ্যমের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদককে এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। 'ভয়েস অব এক্সপার্টস বাংলাদেশ'র সহযোগিতায় এ পুরস্কার দেয় সংগঠনটি।
সংগঠনটির ৩৯ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে সকাল সাড়ে ৯টায় উদ্বোধন করা হয়। তারপর প্রেসক্লাবের সামনে থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ চত্বর প্রদক্ষিণ করে সংগঠনটির কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।
এরপর দুপুর ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস্ কমপ্লেক্সে 'জুলাই বিপ্লবোত্তর গণমাধ্যমের সংস্কার' শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রেসক্লাবের সভাপতি জুবায়ের জামিল। সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন মাহিনের সঞ্চালনায় প্রধান আলোচক ছিলেন যুক্তরাজ্যে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রেস মিনিস্টার আকবর হোসেন। আরো উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মাঈন উদ্দীন, সংগঠনটির প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. আমজাদ হোসেনসহ আরো অনেকে।
আলোচনা শেষে ৫ প্রতিবেদকের হাতে পুরস্কার তুলে দেন আমন্ত্রিত অতিথিরা। ৫টি ক্যাটাগরিতে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। মাল্টিমিডিয়া ক্যাটাগরিতে বর্ষসেরা প্রতিবেদক হন বাংলাভিশন'র সৈয়দ সাকিব, অনুসন্ধানী ক্যাটাগরিতে দৈনিক মানবজমিনের মারুফ হোসেন মিশন, স্পেশাল নিউজ ক্যাটাগরিতে দৈনিক বণিক বার্তা'র আবু ছালেহ শোয়েব, ডেইলি ইভেন্ট ক্যাটাগরিতে দৈনিক যায়যায়দিন'র ফজলে রাব্বি পরশ ও উদীয়মান ক্যাটাগরিতে দৈনিক আমাদের বার্তা'র ফাহমিদুর রহমান ফাহিম।
অনুষ্ঠানে প্রেস মিনিস্টার আকবর হোসেন বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর আমরা আমাদের বাকস্বাধীনতা ফিরে পেয়েছি। এ আন্দোলনে মেয়েদের অংশগ্রহণের কারণে আরো বেগবান হয়েছিল। জুলাই বিপ্লবোত্তর গণমাধ্যমের সংস্কারের আগে সাংবাদিকদের মানসিকতার সংস্কার বেশি প্রয়োজন। তবেই গণমাধ্যম তার নিজ গতিতে চলতে পারবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহা. ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, সাংবাদিকদের সমাজের মুখপাত্র ধরা হয়। জুলাই বিপ্লবের সাংবাদিকদের ভূমিকা অনেক। তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করেছে। অনেকে আহত ও নিহত হয়েছেন। তাদের রূহের মাগফিরাত কামনা করছি।
আপনার মতামত লিখুন :