‘সত্য সন্ধানে মুক্ত কলম সৈনিক’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে দীর্ঘ ছয় বছরের নানা প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে প্রতিষ্ঠার সপ্তম বছরে পদার্পণ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটি। কেক কাটা, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি সহ নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে এদিন সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসিতে অবস্থিত ইবি রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যালয়ে বেলা ১১টায় কেক কাটার মাধ্যমে দিবসটির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। পরবর্তীতে জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে টিএসসিসির সামনে ফলজ ও বনজ বৃক্ষ রোপণ করা হয়।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসি পরিচালক অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান ও ইবি রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্যবৃন্দ।
ইবি রিপোর্টার্স ইউনিটির ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি টিএসসিসির পরিচালক অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন বলেন, সাংবাদিকতার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক যে সংবাদগুলো তোমরা বিভিন্ন পত্রিকা কিংবা অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে প্রচার করছো এতে পুরো বাংলাদেশ তথা গ্লোবালি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিতি বাড়ছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব করছি তা সবাই জানতে পারছে। এই ধারা আরও শাণিত হোক।
ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সংগঠন হিসেবে ঐতিহ্যের অধিকারী ইবি রিপোর্টার্স ইউনিটির গত ৬ বছরের পদচারণা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ইতিবাচক এবং সহায়ক হিসেবে কাজ করেছে। এদিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের সাথেও তোমরা যুক্ত হয়ে গেছো। সাংবাদিক হিসেবে তোমরা পেশাদারিত্বের পরিচয় দিবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় এমন কাজ থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করবে। তোমাদের প্রতি আহবান থাকবে নেতিবাচকের পাশাপাশি ইতিবাচক বিষয়গুলোও তোমরা দেখবে এবং ছাত্র ও সাংবাদিক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে উন্নতি ও অগ্রগতির সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে।
প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, আজকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটির শুভলগ্নে সবাইকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আমি প্রক্টরের দায়িত্ব পাওয়ার পর আমার মনে হয় রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্যদের সাথে আমার সবচেয়ে বেশি যোগাযোগ হয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের পক্ষে ভালো কাজের ক্ষেত্রে রিপোর্টার্স ইউনিটির একটা ইতিবাচক ভূমিকা আছে বলে আমি মনে করি। আশা করি জুলাই বিপ্লবের চেতনাকে ধারণ করে নতুন করে সাহস সঞ্চয় করে শিক্ষার্থীদের পক্ষে কাজ করে রিপোর্টার্স ইউনিটি বিশ্ববিদ্যালয়কে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটির আহ্বায়ক তারিক সাইমুম বলেন, সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটি সবসময় স্বচ্ছতার জায়গায় অটুট ছিলো। 'সত্য সন্ধানে মুক্ত কলম সৈনিক' এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এই সংগঠনের প্রতিটি সদস্য লেখনীর মাধ্যমে দেশ ও জাতি বিনির্মানে কাজ করে যাচ্ছে। নতুন বছরে পদার্পনের মাধ্যমে রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংবাদিকদের মাধ্যমে নতুন দ্বার উন্মোচিত হোক এবং সর্বক্ষেত্রে নতুন সংস্কারের ছোঁয়া পৌঁছায় যাক সেই কামনা করছি।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১৮ই নভেম্বর থেকে যাত্রা শুরু করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটি। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা, নিরপেক্ষ অবস্থান’সহ ক্যাম্পাসের নানা অসঙ্গতি সঠিকভাবে তুলে ধরেছে এই সংগঠনটি।
আপনার মতামত লিখুন :