লালমনিরহাটে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিক লাঞ্ছিত 

লালমনিরহাটে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকা অনশন করছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে স্থানীয় ৫/৬ জন সাংবাদিক সংবাদ সংগ্রহের জন্য গেলে তাদেরকে মারধর ও লাঞ্ছিত করার ঘটনা ঘটে। এ সময় দুর্বৃত্তরা সাংবাদিকদের ২টি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলফোন ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
বিকেলে লালমনিরহাট সদর উপজেলার সারাটি ইউনিয়নের ফকিরটারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এতে জাতীয় দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদের প্রতিবেদক জিন্নাতুল ইসলাম জিন্না, মাতৃভূমির খবরের প্রতিবেদক সাহিদ বাদশা বাবু, ভোরের আকাশের প্রতিবেদক নাজমুল ইসলামসহ ৫ জন সাংবাদিককে মারধর ও লাঞ্ছিত করা হয়। এ ঘটনায় রাতেই থানায় অভিযোগ করে সাংবাদিক জিন্না। তবে এখনো আমলে নেওয়া হয়নি অভিযোগ।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক সাহিদ বাদশা বাবু বলেন, সদর উপজেলার হারাটি ইউনিয়নের ফকিরটারী গ্রামে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকা অনশন করছে। এমন একটি তথ্যের ভিত্তিতে আমরা ৪/৫ জন সাংবাদিক সংবাদ সংগ্রহের জন্য সেখানে যাই এবং অনশনরত মেয়েটির সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করি। মেয়েটির সঙ্গে কথা বলতে যাওয়া মাত্রই প্রেমিক নিশাতের চাচা সার ব্যবসায়ী রশিদ ও নিশাতের বড় ভাই নাঈমসহ ৮/৯ জন দুর্বৃত্ত আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় আমরা সংবাদকর্মী পরিচয় দিলে তারা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং আমাদের মারধর ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।
এর কিছুক্ষণ পরে প্রেমিক নাঈমের চাচা রশিদসহ আরও কয়েকজন মেয়েটিকে বেধড়ক মারপিট করে। এরপর তারা মেয়েটিকে পাঁজাকোলা করে অন্যত্র নিয়ে যেতে চাইলে সাংবাদিকরা সেখানে ভিডিও করার চেষ্টা করে। এ সময় সাংবাদিকরা সেই দৃশ্যের ভিডিও করতে যাওয়া মাত্রই দুর্বৃত্তরা সাংবাদিকদের ২টি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলফোন কেড়ে নেয় এবং সাংবাদিকদের পথ রোধ করে মেয়েটিকে সেখান থেকে নিয়ে অন্যত্র চলে যায়।
এ ব্যাপারে লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল কাদের বলেন, সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ পাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থলে অফিসার পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।