Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১

বর্ষা আসেনি ফুটেছে কদম


দৈনিক পরিবার | মিরু হাসান বাপ্পী জুন ৩, ২০২৪, ০৭:১৫ পিএম বর্ষা আসেনি ফুটেছে কদম

প্রকৃতিতে এখনও বর্ষা আসেনি। আসুক না আসুক, কদম কিন্তু ঠিকই ফুটেছে। কদমকে কাব্য ভাষায় বলা হয় বর্ষার দুত। বর্ষার সঙ্গে কদম ফুলের নিবিড় সম্পর্ক। বর্ষার আগমনী বার্তা বা দুত হিসেবে কদম ফুল প্রতীক। বর্ণে, গন্ধে সেরা এই ফুলের সঙ্গে বাঙালীর পরিচয়ও বহু প্রাচীণ। আবার কদমের আরেক নাম মেঘাগমপ্রিয়। কদম ফুলের সৌন্দর্য তুলনারহিত। এর আকার ছোট বলের মতো। রঙটা গাঢ় হলুদ, তার চারপাশে হালকা সাদা গত চার দশকের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, কদম বছরের একাধিক সময়ে ফোটে। এবারে বর্ষার আগে ফুটেছে, বসন্তের শেষেও ফোটে। আবার শীতকালেও এই ফুল ফোটে। কদম এর বৈজ্ঞানিক নাম অহঃযড়পবঢ়যধধষঁং রহফরপঁং। এটি নীপ নামেও পরিচিত। বাংরাদেশ, ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল, চীন, মালয় কদমের আদি নিবাস। দীর্ঘকৃতি, বহুশাখাবিশিষ্ট বিশাল বৃক্ষ বিশেষ। কবিতায় গানে বর্ষাকে বর্ণনা করতে বারবার এসেছে কদম ফুল প্রসঙ্গ। রবীন্দ্র সংগীতে তাই স্থান পেয়েছে, ’বাদল দিনেরও প্রথম কদমও ফুল, করেছ দান। গানগুলি যেন প্রকৃতিতে বর্ষার রূপকে ছবির মতো তুলে ধরে।
কদম ফুল সৌন্দর্যে পিপাসুদের তৃপ্তি দেয়। কদম ফুল চর্মরোগের জন্যও ব্যবহত হয়। এই গাছের নির্যাস মারাত্মক ব্যকটেরিয়া থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। লিভার রোগের জন্য এই ফুল উপকারি। ঘ্রাণে, বর্ণে, সৌন্দর্যে ও ওষুধে গুণে কদমগাছ পরিপূর্ণ হলেও এই গাছের সংখ্যা ক্রমশ কমে যাচ্ছে। তাই প্রকৃতিকে বাঁচাতে কদমসহ সব ধরনের বৃক্ষ রোপণ করতে হবে।

Side banner