ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দশদোনা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা সালমা আক্তার সেঁজুতির প্রথম প্রকাশিত বই “মুগ্ধতার দেবী”।
বই দিবস উপলক্ষে স্কুলের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের মাঝে তার লেখা মুগ্ধতার দেবী বইটি উপহার দেন। তিনি বলেন, আমার লেখা প্রথম প্রকাশিত “মুগ্ধতার দেবী” পাঠক শ্রেণীর কাছে ভালো লাগবে সে আশা ব্যক্ত করছি। বিরহবোধ প্রেমেরই অংশ। বই পড়লে জীবন সুন্দর হয়, পৃথিবীকে নতুনভাবে দেখা যায় এবং মন উন্নত হয়।
তিনি আরও বলেন, প্রকৃতি চাইলেই মানব মনে প্রেমের সঞ্চার ঘটাতে পারে আবার সেই সাথে বিরহ বোধ সৃষ্টি করতে পারে। আমি উপন্যাসের নায়ক চরিত্রটি সৎ, পরিবারের প্রতি অসম্ভব ভালেবাসা এবং সবশেষে একজন প্রেমিক পুরুষ হিসেবে তৈরি করেছি। আশা করি বইপ্রেমীদের কাছে আমার “মুগ্ধতার দেবী” মুগ্ধতা তৈরি করবে। বই হলো মানুষের পরম বন্ধু। পরিচিত, আপনজন অনেক মানুষ কে বইটি উপহার দিয়েছি। সবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ আমার প্রথম প্রকাশিত বইটি বই দিবসে সকলের মাঝে তুলে ধরতে পেরেছি।
দশদোনা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জামিল উদ্দিন জুয়েল জানান, বই দিবসে আমার সহকারী শিক্ষিকার বইটি পুরস্কার হিসেবে পেয়েছি। বই দিবসে বই পেয়ে অত্যন্ত খুশি এবং আনন্দিত। বই এর সাথে সম্পর্ক মানুষের সারাজীবনের। সবার উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আমাদের সকলেরই আরো বেশি বেশি বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত।
লেখক সালমা আক্তার সেঁজুতি ১৯৯৭ সালের ২০ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম জয়নাল আবেদীন, মাতা রিনা বেগম। ছয় ভাই বোনদের মধ্যে তিনি চতুর্থ সন্তান।
মুগ্ধতার দেবী হচ্ছে তার প্রথম প্রকাশিত প্রেমের উপন্যাস। এ বছর বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও এই দিবসটি পালন করছেন লেখক পাঠক ও প্রকাশকরা।
আপনার মতামত লিখুন :