বিয়ের পর অনেকেরই ওজন বেড়ে যায়। বিয়ের আগে অনেক নারীই রোগা, পাতলা গঠনের থাকেন। কিন্তু বিয়ের পরেই দেখা যায় তাদের ওজন বেড়ে যায়। এর কারণটা কী?
গবেষণায় দেখা গেছে, স্বামী-স্ত্রীর সহবাসের কারণেই নারীরা মোটা হতে শুরু করেন। তবে কারণ যে শুধু এটাই, তা কিন্তু একেবারেই নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিয়ের পর বেশিরভাগ নারীর জীবনযাপনে পরিবর্তন আসে। আর সেই কারণেই এই শারিরিক পরিবর্তনও দেখা যায়।
বিয়ের আগে বহু নারীই কড়া ডায়েটের মধ্যে থাকেন। কিন্তু বিয়ের পর অন্য পরিবেশে গিয়ে সেই অভ্যাসে ঘাটতি পড়ে। শরীরের প্রতি যত্ন নেওয়া কম হলেই জমতে থাকে মেদ। তা ছাড়া জীবনসঙ্গীর সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে খাদ্যাভাসে পরিবর্তন দেখা দেয়। ফলে ওজন বাড়তে থাকে।
খাওয়ার রুচি বদলের কারণে শরীরে বাড়ে মেদ। এ ছাড়া বিয়ের ২-৪ বছরের মধ্যে সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা করেন অনেক নবদম্পতি। ফলে বিয়ের পর যে হারে মেদ জমতে শুরু করে। সন্তানসম্ভবা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই মেদ কিছুটা চিরস্থায়ী হয়েই জমা থাকে শরীরে। আর তা কমাতে বেশ কসরতই করতে হয়। কারণ শ্বশুরবাড়িতে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার নিরন্তর চেষ্টার ফাঁকে নিজের জন্য সময়ই বের করে উঠতে পারে না অনেক নারী। ফলে বাড়ে ওজন।
বিয়ের পর নিয়মিত শারিকি সম্পর্কের কারণে ইস্ট্রোজেন হরমোন বাড়ে। এই হরমোন খাদ্য থেকে চর্বি শোষণ হওয়ার পর তা শরীরে জমাতে থাকে। এ কারণে বিবাহিত নারী মোটা হয়ে যেতে পারে। তবে চিকিৎসকরা বিয়ের পরে মোটা হওয়ার কারণ হিসেবে কোনো ফিজিওলজিকাল কারণের উল্লেখ করেননি।
বিয়ের পরে নতুন পরিবেশে মানিয়ে নিতে কিছুটা সময় লাগে সব মেয়েরই। যে কারণে তার প্রভাব পড়ে ঘুমের ক্ষেত্রেও। নতুন জায়গায় ঘুমে অনিয়ম হতে পারে। আর অপরিমিত ঘুম ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে।
বিয়ের পরে অনেক রকম দুশ্চিন্তা কমে যায়। মেয়েরা স্বামীর কাছে নিজেকে নিরাপদ মনে করে। যে কারণে মন ও শরীর প্রশান্তি পায়। এর ফলেও ওজন কিছুটা বাড়তে পারে। আবার বিয়ের পরপরই অনেক আত্মীয়ের বাড়িতে দাওয়াত থাকে। সেখানে ভালো ভালো খাবারের আয়োজন থাকে। সেসব খাবার খেয়েও ওজন কিছুটা বেড়ে যেতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :