অনেকেই চুলের সমস্যার চেয়ে খুশকির সমস্যায় বেশি ভোগেন। কারও সারা বছর খুশকির সমস্যা থাকে, কেউ আবার শীতকালজুড়ে ভোগেন খুশকিতে। আর খুশকি হলে অনেকেই অ্যান্টি-ড্যানড্রফ শ্যাম্পু ব্যবহার করেন। আবার কেউ কেউ পার্লারে গিয়ে অ্যান্টি-ড্যানড্রফ ট্রিটমেন্টও করান। সেগুলো আদৌ কোনো কাজ দেয়? খুশকি তাড়াতে গেলে কী করা উচিত? সেই পরামর্শই দিলেন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা।
যে কারণে খুশকি হয়:
ঠিক কী কারণে খুশকি হয়, তা অনেকেরই অজানা। বিশেষজ্ঞরা বলেন, খুশকি এক ধরনের অসুখ, যাকে বলে ‘সেবোরিক ডার্মাটাইটিস’। এর পিছনে মূলত তিনটে কারণ রয়েছে। এক, ছত্রাক সংক্রমণ। দুই, চুলের গোড়ায়, অর্থাৎ স্ক্যাল্পে মৃত কোষ জমতে থাকে এবং তিন, দূষণ। এত ধুলাবালু, ময়লা, সমস্ত দূষণ কণা চুলের গোড়ায় জমতে থাকে, সেখান থেকেই খুশকি হয়।
সুতরাং, খুশকি হওয়ার পিছনে শুধু যে চুলের অযতœ দায়ী, তা কিন্তু নয়। দূষণ কণা কিংবা মরা কোষের হাত থেকে চুলকে সব সময় বাঁচানো যায় না।
খুশকি তাড়াতে যা করবেন:
খুশকির দূর করতে গেলে খুব বেশি কসরত করতে হয় না। চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা বলেন, খুশকি পরিষ্কার করতে সপ্তাহে দু-তিনবার শ্যাম্পু করুন। প্রতিদিন শ্যাম্পু করতে পারলে আরও ভালো। বিশেষত যে সব জায়গায় দূষণ সেখানে প্রতিদিন শ্যাম্পু করাই ভালো।
সাধারণত নিয়মিত শ্যাম্পু করলেই খুশকি পরিষ্কার হয়ে যায়। শ্যাম্পু চুল ও স্ক্যাল্পে জমে থাকা ময়লা, খুশকি, তেল পরিষ্কার করতে সক্ষম। অনেক সময় শ্যাম্পু করেও খুশকি কমে। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। ডাক্তারের পরামর্শ মেনে ওষুধ খেয়ে ও স্ক্যাল্পে ওষুধ লাগিয়ে খুশকি থেকে মুক্তি পাওয়া যায় বলে মতামত বিশেষজ্ঞদের।
অ্যান্টি-ড্যানড্রফ শ্যাম্পু কতটা কার্যকরী?
খুশকি হলেই অ্যান্টি-ড্যানড্রফ শ্যাম্পু ব্যবহার করেন। আদৌ কি অ্যান্টি-ড্যানড্রফ শ্যাম্পু কোনো কাজ দেয় কিংবা এই ধরনের শ্যাম্পুর কি কোনো প্রয়োজনীয়তা আছে?
এই প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা বলেন, সব শ্যাম্পুর কাজ একটাই, স্ক্যাল্প ও চুলকে পরিষ্কার রাখার। দু’ টাকার শ্যাম্পু হোক কিংবা দু’হাজার টাকার শ্যাম্পু, যেটাই ব্যবহার করবেন, কাজ একটাই হবে। সুতরাং, খুশকি পরিষ্কার করার জন্য আলাদা করে অ্যান্টি-ড্যানড্রফ শ্যাম্পু ব্যবহারের কোনো দরকার নেই। যে কোনো শ্যাম্পু দিয়ে নিয়মিত চুল ও স্ক্যাল্প পরিষ্কার করলেই হবে।
আপনার মতামত লিখুন :