ব্যস্ত জীবনে মানসিক স্বাস্থ্যকে উপেক্ষা করা সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা প্রায়ই নিজেদের কাজ, সম্পর্ক এবং অন্যান্য দায়িত্ব নিয়ে এতটাই ব্যস্ত থাকি যে সুস্থতাকে অবহেলা করি। কিন্তু কিছু ছোট অভ্যাস মানসিক স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। চলুন সেগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অতিরিক্ত ব্যবহার
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আমাদের জীবনকে নানাভাবে বদলে দিয়েছে। কিন্তু এর অতিরিক্ত ব্যবহার আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অন্যের সুখ এবং সাফল্য দেখে প্রায়ই আমাদের হীন মনে হয়। এর ফলে হতাশা, উদ্বেগ এবং একাকীত্বের অনুভূতি হতে পারে। এর বাইরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অত্যধিক সময় ব্যয় করার ফলে ঘুমের অভাব এবং মনোযোগ দিতে অসুবিধা হতে পারে।
মানসিক চাপকে উপেক্ষা করবেন না
স্ট্রেস আমাদের জীবনের একটি অংশ। কিন্তু আমরা যদি দীর্ঘ সময় ধরে চাপে থাকি, তাহলে তা আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। মানসিক চাপের কারণে উদ্বেগ, রাগ, ক্লান্তি এবং ঘুমের সমস্যা হতে পারে। এ ছাড়াও দীর্ঘমেয়াদী মানসিক চাপ হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিসের মতো মারাত্মক রোগের কারণ হতে পারে।
ভুল খাবার
আমরা যা খাই তা আমাদের শরীর ও মনকে প্রভাবিত করে। অস্বাস্থ্যকর ডায়েট মেজাজ পরিবর্তন, উদ্বেগ এবং বিষন্নতার মতো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এ ছাড়া জাঙ্ক ফুড এবং অ্যালকোহল খেলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যায় এবং স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়।
শারীরিক কার্যকলাপের অভাব
শারীরিক কার্যকলাপ শুধুমাত্র আমাদের শরীরের জন্যই নয়, আমাদের মনের জন্যও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত ব্যায়াম মানসিক চাপ কমায়, মেজাজ উন্নত করে এবং ঘুমের উন্নতি ঘটায়। শারীরিক পরিশ্রমের অভাবে বিষন্নতা, উদ্বেগ এবং স্থূলতার মতো সমস্যা হতে পারে।
পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া
ঘুম আমাদের শরীর ও মনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পর্যাপ্ত ঘুম না পাওয়া আমাদের ক্লান্ত, খিটখিটে এবং চাপ অনুভব করাতে পারে। ঘুমের অভাবে মনোযোগ দিতে অসুবিধা, স্মৃতিশক্তি হ্রাস এবং মেজাজ পরিবর্তনের মতো সমস্যা হতে পারে।
এসব অভ্যাস এড়াবেন যেভাবে
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কম সময় কাটানোর চেষ্টা করুন।
যোগব্যায়াম, ধ্যান এবং গভীর শ্বাসের মতো স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট কৌশল অনুশীলন করে চাপ কমাতে পারেন।
ফল, সবজি এবং গোটা শস্য সমৃদ্ধ খাবার খান।
প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট শারীরিক ব্যায়াম করুন।
প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আপনি যদি এই অভ্যাসগুলো কাটিয়ে উঠতে না পারেন তবে পেশাদারের সাহায্য নিন।
আপনার মতামত লিখুন :