শীতকালে বাতাসের আর্দ্রতা অন্যান্য ঋতুর তুলনায় অনেকটা কম হয়, ফলে শীতের শুরু থেকেই ত্বক শুষ্ক হতে থাকে। এই শুষ্ক ঋতুতে আর্দ্রতা হারিয়ে ত্বক হয়ে পরে নিস্তেজ ও মলিন। তবে একটু সচেতনতা ও যত্নের মাধ্যমে খুব সহজেই শীতকালে ত্বক স্বাস্থ্যকর রাখা সম্ভব।
ময়েশ্চারাইজ
শীতের শুষ্কতার হাত থেকে ত্বক বাঁচাতে ময়েশ্চারাইজারের তুলনা নেই। ত্বক হেলদি রাখতে নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। বাজারে নামি-দামি ময়েশ্চারাইজার ছাড়াও খাঁটি নারিকেল তেল বা অলিভ ওয়েল ব্যবহারেও অনেক ভালো ফলাফল পাওয়া য়ায়।
স্ক্রাব বা এক্সফোলিয়েটিং
ত্বকের মৃত কোষ বা মরা চামড়ার আস্তরন দূর করতে সপ্তাহে এক থেকে দুইবার জেন্টাল স্ক্রাব ব্যাবহার করতে হবে। চালের গুড়ো আর মধু মিশিয়ে ঘরোয়া পদ্ধতিতে স্ক্রাব তৈরি করা সম্ভব। এক চামচ চালের গুঁড়ো ও এক চামচ মধু একসাথে মিশিয়ে, ভেজা ত্বকে আলতো হাতে ৩ থেকে ৫ মিনিট ঘষে হালকা গরম পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। অবশ্যই স্ক্রাবিং এর পর ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।
ফেস প্যাক
সপ্তাহে দু তিনবার দুধের সর , মধু ও বেসন এর মিশ্রণ ব্যবহারে ত্বকের আদ্রতা বৃদ্ধি পাবে পাশাপাশি এটি ত্বকের উজ্জলতা বাড়াতেও সাহায্য করবে। তাছাড়া টক দই, বেশন ও হলুদের মিশ্রণ ব্যবহার করা যেতে পারে।
কুসুম গরম পানিতে গোসল
অতিরিক্ত ঠান্ডা বা গরম পানির ব্যবহার শীতে ত্বককে আরও রুক্ষ করে দিতে পারে। তাই হালকা গরম পানিতে ঘোসল করতে হবে। এছাড়া অতিরিক্ত খাড় যুক্ত সাবান ব্যাবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এক্ষেত্রে গ্লিসারিন যুক্ত সাবান ব্যবহার করা যেতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :