ঝরঝরে শরীর, বেশি চর্বি না, আবার চেহারা কমনীয়। এটাই হলো স্লিম থাকা। শুধু একটু হিসাব করে চলতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম তো আছেই। কিন্তু কী খাচ্ছেন সেটাও বড় ব্যাপার। আসুন দেখি নিজেকে কীভাবে সেই আকর্ষণীয় ফিগারে রাখতে পারি।
১. মোটামুটি পেট ভরে সকালের নাশতা করুন। এতে থাকবে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, সবজি ও ফলসমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর উপাদান। দুধ-ডিম খুব ভালো। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওয়েইট কন্ট্রোল রেজিস্ট্রির হিসাব অনুযায়ী পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে গড়ে ৩০ কেজি ওজন কমিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছেন এমন ১০ হাজার ব্যক্তির সবাই সকালে এ ধরনের স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেয়ে থাকেন।
২. দুপুরে একটু কম খেলেও চলে। ভাত-ডাল-মাছ-মাংস তো থাকবেই। প্লেটের অর্ধেক থাকবে শাকসবজি। বিকেলের দিকে একটা আপেল বা পেয়ারা ধরনের দেশি ফল খেতে পারেন। এ সময় দারুণ খিদে পায় বলে তেলেভাজা খাবার খাওয়ার দারুণ ইচ্ছে হয়, যা আপনার ওজন বাড়িয়ে দেয়।
৩. আঁশসমৃদ্ধ খাদ্য বেশি খাবেন। ফলমূল-শাকসবজি, ঢেঁকিছাঁটা লাল চাল ও লাল আটায় (হোল গ্রেন) আঁশ বেশি থাকে। আঁশ পাকস্থলীতে অনেকক্ষণ থাকে, ফলে খিদে কম পায়।
৪. বিপজ্জনক খাবার বাসায় রাখবেনই না। যেমন: আইসক্রিম, চকলেট, তেলেভাজা লোভনীয় খাবার প্রভৃতি। এসব যে একেবারে খাওয়া যাবে না, তা নয়। মাঝে মধ্যে চলে। কিন্তু বাসায় হাতের কাছে থাকলেই বিপদ।
৫. প্রতি সপ্তাহে একটি নির্দিষ্ট দিনে ওজন নিন। পেট ও কোমরের মাপ নিয়ে দেখুন কমছে, না বাড়ছে। সে অনুযায়ী দরকার হলে পরের সপ্তাহে খাবার কমবেশি করুন। বৃহস্পতিবার সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই মাপজোখের কাজটা সেরে নিতে পারেন। কারণ শুক্র-শনি ছুটির দিনে হয়তো দাওয়াত থাকে, বিয়ে বা পার্টিতে একটু ক্যালরিসমৃদ্ধ খাওয়া থাকবেই। তাহলে পরের পাঁচ দিনে সেই বাড়তিটুকু ধীরে ধীরে কমিয়ে ফেলা যাবে। একটি ডায়েরিতে মাপগুলো লিখে রাখুন। ডায়েরি হারিয়ে ফেলবেন না। দু-তিন বছর পর চোখ বুলিয়ে দেখে নেবেন, কোথায় ছিলাম আর কোথায় যাচ্ছি। নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখার এটা ভালো উপায়।
আপনার মতামত লিখুন :