ক্লিনজিং, টোনিং, ময়েশ্চারাইজিং ত্বকের যত্নের প্রধান সূত্র। এ সূত্র মানলেই পাওয়া যায় স্বাস্থ্যোজ্জ্বল সুন্দর ত্বক। আর ত্বকে টোনার ব্যবহারে আপনার হারানো ঔজ্জ্বল্য যেমন ফেরে তেমনই আবার ত্বককে করে তোলে আরও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল। তবে বেশির ভাগ সময় দেখা যায়, টোনার সম্পর্কে ভুল ধারণা রয়েছে অনেকেরই। অথচ এ টোনিংই সুস্থ, মসৃণ, টান টান ত্বকের চাবিকাঠি।
টোনিং সম্পর্কে সঠিক তথ্য জেনে ত্বকচর্চার রুটিনে বন্ধু করে নিন টোনারকে:
আপনি কী বিশ্বাস করেন ক্নিনজারের বিকল্প হিসাবে টোনার ব্যবহার করা যায়? এই ধারণা থাকলে তা আজই বদলের সময় এসেছে। কারণ বিশেষজ্ঞদের দাবি, মুখ ভালো করে পরিষ্কারের পরেও আপনার ত্বকে থাকা ব্যাকটেরিয়া, বাড়তি তেল, মৃত কোষকে পরিষ্কার করতে টোনার কাজে লাগে। তবে তা কখনই ক্লিনজারের বিকল্প হতে পারে না।
অনেকেই ভাবেন স্পর্শকাতর ত্বকে টোনার ব্যবহার করা উচিত নয়। এই ভাবনা বদলের সময় এসেছে। কারণ, একাধিক সংস্থা বিভিন্ন রকমের ত্বকের চরিত্র অনুযায়ী টোনার বাজারে এনেছে। শুধু আপনাকে ত্বকের চরিত্র অনুযায়ী তা বেঝে নিতে হবে।
স্ক্রাবারের পরিবর্তে শুধুমাত্র টোনার ব্যবহারেই ত্বকের মৃত কোষের বিড়ম্বনার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব বলেই ধারণা রয়েছে অনেকের। তবে এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। হয়তো আপনার ত্বককে সামান্য ঔজ্জ্বল্য ফেরাতে সাহায্য করতে পারে টোনার। তবে তা কখনই পুরো মাত্রায় আপনার ত্বককে মৃত কোষমুক্ত করতে পারে না।
অনেকেই মনে হয় টোনার ব্যবহারের ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। আপনি কী জানেন এই ধারণা একেবারেই ঠিক নয়। কারণ, সব ধরনের টোনারে থাকা উপাদান একইরকম হয় না। তার ফলে এক একটি টোনার আলাদা আলাদা কাজ করে। তাই আপনি কীরকম টোনার কিনছেন তার উপরেই তৈলাক্ত কিংবা শুষ্কতা নির্ভর করে।
ত্বকে থাকা ব্রণ কিংবা কালো দাগ তুলতে পারে না টোনার। তবে আপনার অতিরিক্ত তৈলাক্ত ত্বক হলে তা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে টোনার। তার ফলে ব্রণর সমস্যা থেকে সামান্য মুক্তি মিলতে পারে।
টোনার ব্যবহারের সময় কিছু দিকে নজর দেওয়া জরুরি:
ত্বকে পানি লাগানোর পরপরই টোনার লাগাতে হবে।
টোনার লাগানোর জন্য তুলার প্যাড বা মিস্ট বোতল ব্যবহার করুন।
টোনার লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলবেন না। পাঁচ থেকে সাত মিনিট অপেক্ষা করে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে ফেলুন। তাহলে যে উদ্দেশ্যে টোনার লাগানো, সেটা পূরণ হবে।
আপনার মতামত লিখুন :