নভেম্বর শুরু হতে না হতেই আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়েছে এবং তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। বিশেষত ভোরের দিকে হালকা ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। আবহাওয়ার এই পরিবর্তন কখনও কখনও অনেক রোগও ডেকে আনতে পারে। তবে আপনি যদি কিছু সতর্কতা অবলম্বন করেন, তবে আপনি সেগুলো এড়িয়ে শীতের ঋতু উপভোগ করতে পারেন।
ব্যায়াম: শীতে নিজেকে ফিট রাখতে শারীরিক পরিশ্রম করুন। আপনি যোগব্যায়াম, দৌড়, হাঁটা বা শক্তি প্রশিক্ষণ করে আপনার শরীরকে উষ্ণ রাখতে পারেন। এটি আপনাকে ফ্লু বা ঠান্ডার মতো রোগ থেকে রক্ষা করার সাথে সাথে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও শক্তিশালী রাখবে।
স্বাস্থ্যকর ডায়েট: আস্ত শস্য, চর্বিহীন মাংস, মাছ, মুরগি, লেবু, ড্রাই ফ্রুটস, বীজ, মসলা, তাজা ফল এবং শাকসবজিসহ একটি সুষম খাদ্য খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এ ছাড়াও আমরা ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন। কারণ, এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
ময়েশ্চারাইজার: শীতে ত্বকের ক্ষতি একটি বড় ঝুঁকি। ঠান্ডা ঋতু ত্বকের ক্ষতি করে, যার ফলে ত্বক শুষ্ক ও চুলকায়, ঠোঁট ফাটে এবং গোড়ালি ফাটতে পারে। শীতে ত্বকের যত্নে ময়েশ্চারাইজার লাগাতে ভুলবে না।
ঘুম: ভালো ঘুম শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে, স্ট্রেস হরমোন কর্টিসল দূর করে এবং পেশী পুনরুদ্ধারে সহায়তা করে। সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য ঘুম খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তাই অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা গভীর ঘুম নিশ্চিত করুন।
পানি: প্রতিদিন প্রয়োজনীয় পরিমাণ পানি পান করুন এবং হাইড্রেটেড থাকুন। পানি আমাদের সিস্টেমকে পরিষ্কার করতে এবং টক্সিন অপসারণ করতে, শরীরের কোষগুলোতে পুষ্টি পরিবহন করতে এবং শরীরের তরলগুলোর ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।
আপনার মতামত লিখুন :