খেতে যেমন সুমিষ্ট এই দেশি ফলটি, তেমনি এতে ঠাসা আছে নানা ধরনের পুষ্টি উপাদান। কাস্টার্ড অ্যাপেল, চেরিমোয়া বা অন্য অনেক নামেই পরিচিত এই ফলটি। তবে বাংলায় একে বলে আতা ফল। সাধারণত যেসব ফলের নামের সঙ্গে আমরা পরিচিত তার তুলনায় এর নাম একটু কম শোনা গেলেও পুষ্টিগুণ কিন্তু ভরপুর রয়েছে এই ফলের মধ্যে। আতা আদতে মধ্য-ক্রান্তীয় অঞ্চলের একটি ফল। মূলত শীতকালে এর ফলন হয়। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ দেশি ফল আতা খেলে পাওয়া যাবে অনেক উপকার।
কোন কোন পুষ্টি উপাদান রয়েছে আতা ফলে: প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাসিয়াম, সোডিয়াম, ভিটামিন (সি, বি৬, এ), থায়ামিন, রাইবোফ্লাভিন, নিয়াসিন, প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড, ফ্যাটি অ্যাসিড মেলে আতায়।
আতা খেলে আপনি কী কী উপকার পেতে পারেন, একনজরে দেখে নেওয়া যাক
আতার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপকরণ রয়েছে। এই ফলের মধ্যে রয়েছে ফ্ল্যাভোনয়েডস এবং পলিফেনল। এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন সি।
অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর হওয়ার ফলে আতা খেলে আমাদের শরীরের অক্সিডেটিভ ড্যামেজ হয় না। কিংবা এই জাতীয় ক্ষয়ক্ষতি হলে তা পূরণ হয়ে যায়।
চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য যেকোনও সবুজ রঙে শাকসবজি এবং ফল কাজে লাগে। আতা ফল খেলেও দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে, প্রখর হয়।
আতার মধ্যে থাকে ক্যারোটিনয়েড অ্যান্টিঅক্সিডেট লুটেইন। এই উপকরণ চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। দৃষ্টিশক্তি ভালো করে। চোখের দৃষ্টি নষ্ট হতে দেয় না। চোখের দৃষ্টিশক্তি প্রখর করে।
আতা ফলের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সলিউয়েবল ফাইবার। এই উপকরণ অন্ত্রের সমস্যা দূর করে এবং হজমশক্তি ভালো করে।
হজমশক্তি ভালো হয় বলে আতা ফলের সাহায্যে প্রদাহজনিত সমস্যা অর্থাৎ অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর হয়। এছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে এই ফল।
একাধিক ভিটামিন এবং মিনারেলস রয়েছে আতা ফলের মধ্যে। এই তালিকায় আছে ভিটামিন বি৬ এবং পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম। ব্লাড প্রেশারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এইসব উপকরণ। এছাড়াও হৃদযন্ত্র সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা থেকে আপনাকে দূরে রাখে।
আতা ফলের মধ্যে রয়েছে ভিটামি এ, ভিটামিন বি৬ এবং ভিটামিন সি। এই সমস্ত ভিটামিন আমাদের ত্বকের জন্য খুবই ভালো। কারণ এগুলো ত্বকের ইলাস্টিসিটি ধরে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও কোলাজেনের উৎপাদন বৃদ্ধি করে যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
আপনার মতামত লিখুন :